সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য হবে রুপিতে
আস্থা ডেস্কঃ
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের সঙ্গে রুপিতে শুরু হচ্ছে বাণিজ্য। এর ফলে ডলার থেকে রুপিতে রূপান্তর বাবদ বাড়তি খরচ গুনতে হবে না। এতে টাকা সাশ্রয় হবে। চাহিদা থাকলে চীনের মুদ্রা ইয়ানেও এলসি (ঋণপত্র) খোলা যাবে। চলতি বছরের শুরুতে এ বিষয়ে কারিগরি কাজ শুরু হয়েছিল। এ কাজ প্রায় শেষের দিকে।
গতকাল রবিবার নতুন বছরের মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ভারতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য অনেক বড়। আনুষ্ঠানিক যদি ১৮ বিলিয়ন ডলার হয়। অনানুষ্ঠানিক আরও ৫০ শতাংশ। তার মানে হলো ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ২৭ বিলিয়ন ডলারের। রুপিতে বাণিজ্য শুরু করলে এটা সম্প্রসারিত হবে। দ্বিতীয়টি হলো ডেবিট কার্ড। বাংলাদেশের অনেক মানুষ ভারতে যাচ্ছে। তারা ডলার কিনছে। ভারতে গিয়ে আবার ডলার কনভার্ট করে রুপি কিনছে। তারা ঘুরতে যাচ্ছে, চিকিৎসার কাজে যাচ্ছে, ধর্মীয় কাজে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই কার্ড যেকোনো ব্যাংক ডেবিট কার্ড হিসেবে ইস্যু করতে পারবে। বিল পেমেন্ট করা যাবে। এমনকি ভারতে গেলে ট্রাভেল কোটার ১২ হাজার ডলারও, এই কার্ড দিয়ে সরাসরি ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে ভারতে যেতে একবার টাকা থেকে ডলার, আরেকবার ডলার থেকে রুপিতে রূপান্তরের জন্য যে বাড়তি খরচ লাগে সেটা করতে হচ্ছে না। প্রায় ৬ শতাংশ খরচ সাশ্রয় করা যাবে। ভারতে বাংলাদেশের ভ্রমণকারী সর্বোচ্চ। ডেবিট কার্ড চালু হওয়ার পর এই বিপুল সংখ্যক মানুষের বড় অংকের টাকা খরচ বাঁচবে।
চীনের মুদ্রা ইয়ানেও এলসি খোলা যাবে বলে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর বলেন, ব্যাংকগুলোকে বলেছি, চাহিদা থাকলে চীনা মুদ্রাতেও এলসি খুলতে পারবে। এর সাথে কারেন্সি সোয়াপের কোনো সম্পর্ক নেই।