স্বপ্ন পুরণ হতে চলছে আটুলিয়াবাসীর
মোঃ শাহাজান ইসলাম/শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর স্বপ্ন পুরণ হতে চলছে আটুলিয়াবাসীর। এই স্বপ্ন পুরণে উল্লাসিত এলাকার হাজার জনতা। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে গাইনের সীলে হইতে সোয়ালিয়া ব্রিজ পর্যন্ত কেবিএস রিডিপ প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৮৮ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা ব্যায়ে ২১শ মিটার কার্পেটিং রাস্তার কাজ প্রাই শেষের দিকে। ২৩শে জুন রাস্তার পিচ ঢালাইয়ের কাজের উদ্বোধন হয়।
তবে পিচ ঢালাই মানসম্মত না হওয়ার অভিযোগ তুললে রাস্তাটি পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম. আতাউল হক দোলন। এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে সিডিউল অনুযায়ী কাজের গুনগত মান ঠিক রেখে কাজ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে ২৪শে জুন শনিবার সকাল থেকে রাস্তার কাজের মান অনেকটাই ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাস্তার দু’পাশের গ্রামবাসী।
এলাকার জনসাধারণ বলেন, অনেক দিনের চাওয়া পাওয়ার অনেকটাই দ্বার প্রান্তে আমরা, নতুন একটি সূচনার স্বাক্ষী হতে চলেছে এই গ্রামের মানুষ। আমরা এরকম পিচ ঢালাই রাস্তাই চাচ্ছিলাম। এমন সৌন্দর্য রাস্তার কাজ যেন চলমান থাকে এবং ভালো ভাবে শেষ হয় এটাই প্রত্যাশা। এলাকাবাসী আরো জানান, রাস্তার দু’পাশে যে সমস্ত জায়গায় উঁচুনিচু বা ডিপ আছে, অনেক স্থানে মাটিও নেই। সে সব স্থান গুলো যদি কন্ডাক্টরের সহযোগিতায় মাটি দিয়ে উঁচু করা যেত তাহলে রাস্তা আরো মজবুত এবং টেকসই হতো।
এলজিডিই’র উপজেলা প্রকৌশলীর প্রতিনিধি মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, কিলোমিটা রাস্তার কাজ প্রাই শেষের দিকে। এখানে ২৫ মি.লি কাজ ধরা আছে সিডিউলে, সেই অনুযায়ী আমরা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, রাস্তার কাজ চলমান আছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে ঈদের পরপরই রাস্তা দিয়ে জনগন চলাচল করতে পারবে।
হযরত মোড়ল বলেন, রাস্থা দিয়ে স্থানীয় বাজারসহ দুরপাল্লায় যেতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। আর বর্ষার মৌসুম এলে তো কথাই নেই, যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভালো না থাকায় হাটু সমান কাদা ঠিলে অসুস্থতায় ভোগা রুগীসহ গর্ভবতী মহিলাদের শ্যামনগর সদরে নিয়ে যেতে অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিলো। পিচের রাস্তা হওয়ায় সব দিক থেকে চলাচলে অনেক সুবিধা হলো।
৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ডা: মোঃ আব্দুর রব খসরু বলেন, রাস্থার কাজ একটু দেরি হলেও এখন কাজ প্রাই শেষের দিকে, আমি সার্বক্ষনিক খোজ নিচ্ছি। কাজ সম্পন্ন হলেই এই এলাকার মানুষ দিন রাত পিচের রাস্থাদিয়ে স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারবে।
ঠিকাদার সাইফ আলী খান বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে খানা খন্দে ভরা রাস্তাটিতে প্রথমে বালি আর ইট দিয়ে কাপ্রেটিং করতে অনেকটাই চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিলো। তার উপরে রাস্তার এক পাশে খাল থাকায় প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ রাস্তার পাশে খালের লোনা পানি ওঠার কারনে অনেকটাই সময়ক্ষেপন হয়েছে। এই পিচের রাস্থার সুফল ভোগ করবে অত্র এলাকার মানুষ।