পাঁচদিন আগে নিখোঁজ হন আফরোজা বেগম নামে এক গৃহবধূ। অবশেষে ছয়দিনের মাথায় শনিবার রাতে স্বামীর বাড়ির উঠানের মাটি খুঁড়ে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আফরোজা কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউপির পূঁইছড়া গ্রামের মো. ইসহাকের মেয়ে। তার স্বামীর নাম রাকিব হাসান বাপ্পী। তিনি চকরিয়ার উপকূলীয় বদরখালী কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও উত্তর নলবিলার হাসান বশিরের ছেলে।
জানা গেছে, প্রায় ৯ মাস আগে বাপ্পীর সঙ্গে আফরোজার বিয়ে হয়। এটি আফরোজার তৃতীয় এবং বাপ্পীর চতুর্থ বিয়ে। বিয়ের পর তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে কিছুদিন আগে মামলায় আপসের সূত্র ধরে আফরোজাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান স্বামী বাপ্পী। ১২ অক্টোবর পুত্রবধূ নিখোঁজ হন বলে শাশুড়ি রোকেয়া হাসান আফরোজার বাবার বাড়িতে খবর দেন। সেই থেকে আফরোজা নিখোঁজ ছিলেন। আর এদিন থেকে স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পীও পলাতক।
ব্রাজিলে ছিনতাইকারির গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, ১২ অক্টোবর শ্বশুরবাড়ি থেকে আফরোজা বেগম নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় বাপ্পীকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন আফরোজার বাবা মো. ইসহাক।
শনিবার রাতে স্বামীর বাড়ির লোকজন উঠানের মাটি খুঁড়তে শুরু করলে গোপন সংবাদে পুলিশ দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়। পরে ওই বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা অবস্থায় আফরোজার লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।