ঢাকা ০৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo এনআইডি কার্ড ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ বন্ধ : ডিসি সারোয়ার Logo আমরা যত দ্রুত পারি বিমানবন্দর চালু করব : বিমান উপদেষ্টা Logo কিশোরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের মিলনমেলা; ঐক্য ও সৌহার্দ্যের নতুন বন্ধন Logo রংপুরে শাশুড়িকে ধর্ষণের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে Logo দেশে মাদ্রাসা বোর্ড পাশে এগিয়ে যদিও বৈরাটি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীই ফেল Logo রাজাপুর-কাঁঠালিয়া উন্নয়ন ফোরামের কমিটি গঠন সভাপতি আবু ইউসুফ সেক্রেটারি জসীম উদ্দীন Logo পানছড়ির উল্টাছড়িতে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন Logo শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা যাচাইয়ের আহ্বান উপ-প্রেস সচিবের Logo চট্টগ্রামের কারখানার ভয়াবহ আগুন ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে! Logo চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন নেভাতে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনেকেই কোটিপতির তালিকায়

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৪:২১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ২৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী থেকে হাসপাতালের সচিব কে নেই কোটিপতির তালিকায়। দুর্নীতি বিশ্লেষকরা বলছেন উপরস্থ কর্মকর্তাদের যোগসাজসেই দুর্নীতির সিন্ডিকেট আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপে পরিণত হয়েছে।

শুধু ড্রাইভার মালেক নয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন ৪৫ কোটিপতি মালেকের নাম রয়েছে দুর্নীতির তালিকায়। রয়েছে বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সাবেক সচিব, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বর্তমান সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মহাপরিচালক দপ্তরের ১ সহকারী প্রধান।

আরও পড়ুনঃ সব মুসল্লি মাস্ক পড়ে নামাজে আসেন তা নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আরও আছে “পরিচালক কার্যালয়ের” ১ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ২ প্রধান সহকারী, হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার অফিস সহকারী, ইপিআই বিভাগের হিসাবরক্ষক, ১ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ঢাকা ও চট্টগ্রাম অফিসের ৪ উচ্চমান সহকারী, গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের ২ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বরিশাল মেডিকেলের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান, ফরিদপুর মেডিকেলের সাবেক পরিচালক, রংপুর রাজশাহী কুড়িগ্রাম মেডিকেলের তিন হিসাবরক্ষক কুষ্টিয়া, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেলের ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের মেডিকেল এডুকেশন শাখার সাবেক সহকারী এবং তিন স্টোর কিপার, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেলের স্টেনোগ্রাফার।

ড্রাইভার, ল্যাব সহকারী থেকে শুরু করে তালিকায় নাম রয়েছে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা থেকে শুরু করে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীও। প্রত্যেকের নামেই রয়েছে অস্বাভাবিক অর্থ বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার ক্ষমতার অপব্যবহার। রয়েছে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির সিন্ডিকেটের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাওয়াকেই দায়ী করছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

দুর্নীতির এ দায় মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না বলছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দুর্নীতির লাগাম টানতে মালেকের মতো তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের শুধু না ধরে, রাঘব বোয়ালদের প্রথমে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

এদিকে, দুদক সচিব মো. দিলওয়ার বখত সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদায় পাওয়ায় রিপোর্টার এগিনেস্ট করাপশনের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে

তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২১ জন কর্মকর্তা কর্মচারীসহ তাদের পরিবারের ৪৩ জনের সম্পদের তথ্য চেয়েছে দুদক। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে। আরও অনেকের নাম আসতে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে মালেক গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, দুর্নীতিবাজরা তাদের অবৈধ সম্পদ রক্ষা করতে সন্ত্রাসী ও ক্যাডার মদদ দেয়। তাদের বিরুদ্ধে দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহঅবস্থানে কাজ করবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনেকেই কোটিপতির তালিকায়

আপডেট সময় : ০৪:২১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী থেকে হাসপাতালের সচিব কে নেই কোটিপতির তালিকায়। দুর্নীতি বিশ্লেষকরা বলছেন উপরস্থ কর্মকর্তাদের যোগসাজসেই দুর্নীতির সিন্ডিকেট আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপে পরিণত হয়েছে।

শুধু ড্রাইভার মালেক নয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন ৪৫ কোটিপতি মালেকের নাম রয়েছে দুর্নীতির তালিকায়। রয়েছে বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সাবেক সচিব, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বর্তমান সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মহাপরিচালক দপ্তরের ১ সহকারী প্রধান।

আরও পড়ুনঃ সব মুসল্লি মাস্ক পড়ে নামাজে আসেন তা নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আরও আছে “পরিচালক কার্যালয়ের” ১ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ২ প্রধান সহকারী, হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার অফিস সহকারী, ইপিআই বিভাগের হিসাবরক্ষক, ১ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ঢাকা ও চট্টগ্রাম অফিসের ৪ উচ্চমান সহকারী, গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের ২ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বরিশাল মেডিকেলের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান, ফরিদপুর মেডিকেলের সাবেক পরিচালক, রংপুর রাজশাহী কুড়িগ্রাম মেডিকেলের তিন হিসাবরক্ষক কুষ্টিয়া, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেলের ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের মেডিকেল এডুকেশন শাখার সাবেক সহকারী এবং তিন স্টোর কিপার, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেলের স্টেনোগ্রাফার।

ড্রাইভার, ল্যাব সহকারী থেকে শুরু করে তালিকায় নাম রয়েছে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা থেকে শুরু করে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীও। প্রত্যেকের নামেই রয়েছে অস্বাভাবিক অর্থ বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার ক্ষমতার অপব্যবহার। রয়েছে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির সিন্ডিকেটের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাওয়াকেই দায়ী করছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

দুর্নীতির এ দায় মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না বলছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দুর্নীতির লাগাম টানতে মালেকের মতো তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের শুধু না ধরে, রাঘব বোয়ালদের প্রথমে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

এদিকে, দুদক সচিব মো. দিলওয়ার বখত সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদায় পাওয়ায় রিপোর্টার এগিনেস্ট করাপশনের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে

তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২১ জন কর্মকর্তা কর্মচারীসহ তাদের পরিবারের ৪৩ জনের সম্পদের তথ্য চেয়েছে দুদক। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে। আরও অনেকের নাম আসতে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে মালেক গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, দুর্নীতিবাজরা তাদের অবৈধ সম্পদ রক্ষা করতে সন্ত্রাসী ও ক্যাডার মদদ দেয়। তাদের বিরুদ্ধে দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহঅবস্থানে কাজ করবে।