ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo নতুন করে পদায়ন করা হলো আরও ৯ ডিসি Logo বাংলাদেশের ১১ জেলাকে সংযুক্ত করে বানাতে চায় ‘গ্রেটার ত্রিপুরা ল্যান্ড’ Logo সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে ভারত-মিয়ানমার, বাংলাদেশ করছে প্রত্যাহার! Logo আ.লীগের আগ্রাসনের প্রতিবাদে পানছড়িতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo তাড়াইলে ধলা ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনুক গ্রেফতার Logo কিশোরগঞ্জে চবি চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিবকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা Logo কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়িতে আ.লীগের মিছিল: সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার Logo রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

১৫ বছর পর বিয়ে বাড়িতে মাকে খুঁজে পেলেন ছেলে

News Editor
  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৭৬ বার পড়া হয়েছে

১৫ বছর বয়সে মাকে হারিয়ে ফেলেন আলামিন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও মায়ের কোনো সন্ধান পাননি। তবু হাল ছাড়েননি। যেখানেই যেতেন মাকে খুঁজে বেড়াতেন। বিশ্বাস ছিল মাকে একদিন না একদিন পাবেন। অবশেষে এক বিয়ে বাড়িতে এসে মাকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

শুক্রবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউপির চাঁদনিমুখা বাজারে স্থানীয়দের মাধ্যমে মা আবেদা বেগমকে খুঁজে পান আলামিন। দীর্ঘদিন পর মাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ছেলে। এ সময় মায়ের দুই চোখ বেয়ে পানি পড়তে থাকে।

বীরাঙ্গনা হিসেবে গেজেট-ভুক্তের আবেদনকারী সেই আ.লীগ নেত্রী বহিষ্কার

আলামিনের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা থানার জিরোধারাবাজি এলাকার ঘরখোল গ্রামে। তারা চার ভাই ও দুই বোন।

আলামিন জানান, তাদের মা ১৫ বছর আগে ব্রেনের সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সব কিছু মনে রাখতে পারেন না। ঝড়-বৃষ্টির এক রাতে তাদের মা আবেদা বেগম বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এলাকায় মাইকিং, থানায় জিডি, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ দিয়েও মায়ের কোনো খোঁজ পাননি। তবে বিশ্বাস ছিল মা মরেনি। তিনি বেঁচে আছেন। তাই কোথাও গেলে সব কাজের ফাঁকে মাকে একটু খুঁজে দেখতেন। যা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।

তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশীর এক আত্মীয়ের বিয়েতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউপির চাঁদনিমুখা বাজারে আসি। এ সময় মায়ের কথা মনে পড়ে। তখন আশপাশে মাকে খুঁজতে থাকি। বাজারের লোকজন এক নামাজি পাগলির সন্ধান দিলেন। যিনি দুই বছর ধরে এ এলাকায় থাকছেন। বিষয়টি শুনেই বিয়ের বাড়ির কোলাহল ছেড়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। একপর্যায়ে গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি দোকানের নিচে বসা ওই নামাজি পাগলিকে দেখি। আর তিনিই হলেন আমার মা।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, হারিয়ে যাওয়া মাকে খুঁজে পেয়েছেন সন্তানরা। ১৫ বছর পর সন্তানদের কাছে পেয়ে ওই নারী অনেক খুশি হয়েছেন।

ট্যাগস :

১৫ বছর পর বিয়ে বাড়িতে মাকে খুঁজে পেলেন ছেলে

আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

১৫ বছর বয়সে মাকে হারিয়ে ফেলেন আলামিন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও মায়ের কোনো সন্ধান পাননি। তবু হাল ছাড়েননি। যেখানেই যেতেন মাকে খুঁজে বেড়াতেন। বিশ্বাস ছিল মাকে একদিন না একদিন পাবেন। অবশেষে এক বিয়ে বাড়িতে এসে মাকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

শুক্রবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউপির চাঁদনিমুখা বাজারে স্থানীয়দের মাধ্যমে মা আবেদা বেগমকে খুঁজে পান আলামিন। দীর্ঘদিন পর মাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ছেলে। এ সময় মায়ের দুই চোখ বেয়ে পানি পড়তে থাকে।

বীরাঙ্গনা হিসেবে গেজেট-ভুক্তের আবেদনকারী সেই আ.লীগ নেত্রী বহিষ্কার

আলামিনের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা থানার জিরোধারাবাজি এলাকার ঘরখোল গ্রামে। তারা চার ভাই ও দুই বোন।

আলামিন জানান, তাদের মা ১৫ বছর আগে ব্রেনের সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সব কিছু মনে রাখতে পারেন না। ঝড়-বৃষ্টির এক রাতে তাদের মা আবেদা বেগম বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এলাকায় মাইকিং, থানায় জিডি, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ দিয়েও মায়ের কোনো খোঁজ পাননি। তবে বিশ্বাস ছিল মা মরেনি। তিনি বেঁচে আছেন। তাই কোথাও গেলে সব কাজের ফাঁকে মাকে একটু খুঁজে দেখতেন। যা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।

তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশীর এক আত্মীয়ের বিয়েতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউপির চাঁদনিমুখা বাজারে আসি। এ সময় মায়ের কথা মনে পড়ে। তখন আশপাশে মাকে খুঁজতে থাকি। বাজারের লোকজন এক নামাজি পাগলির সন্ধান দিলেন। যিনি দুই বছর ধরে এ এলাকায় থাকছেন। বিষয়টি শুনেই বিয়ের বাড়ির কোলাহল ছেড়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। একপর্যায়ে গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি দোকানের নিচে বসা ওই নামাজি পাগলিকে দেখি। আর তিনিই হলেন আমার মা।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, হারিয়ে যাওয়া মাকে খুঁজে পেয়েছেন সন্তানরা। ১৫ বছর পর সন্তানদের কাছে পেয়ে ওই নারী অনেক খুশি হয়েছেন।