বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করবে। রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কোল্ডস্টোরেজ মালিক, আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান। বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে তিন স্তরে যে দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে, সেটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। তারা কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা ও খচরা পর্যায়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত মূল্যে বাজারে আলু বিক্রয় নিশ্চিত করা হবে। এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে। দেশে প্রয়োজনীয় আলু মজুত রয়েছে। আলু সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই। কোনো অবস্থাতেই অধিক লাভ করার সুযোগ দেয়া হবে না।’
‘ক্রেতাদের সাশ্রয়ী মূল্যে আলু সরবরাহের উদ্দেশ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ট্রাক সেলের মাধ্যমে আলু বিক্রি শুরু করবে। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে প্রতি কেজি আলু ২৫ টাকা মূল্যে বিক্রয় করবে টিসিবি।’
ভাসানচরের আধুনিকতা দেখে মুগ্ধ রোহিঙ্গারা
টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশে আলুর কোনো ঘাটতি নেই। প্রচুর আলু আবাদ হয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টির কারণে সবজির আবাদ কিছুটা ক্ষতি হওয়ার কারণে আলুর চাহিদা বেড়েছে। তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি আলুর দাম হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সঞ্চালনায় সভায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মো. হাফিজুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. মোস্তাক হোসেন, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আল-বেরুনি, র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই, কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং পাইকারি আলু ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।