বিইআরসির দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে চার মাসের অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল সমন্বয় করে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসে যেসব গ্রাহকের কাছ থেকে মিটার রিডিং ছাড়া অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল দাবি বা আদায় করা হয়েছে, তাঁদের চিহ্নিত করে অতিরিক্ত ওই বিল অবিলম্বে পরবর্তী মাসগুলোর বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে বলে গত ১৬ জুলাই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সিদ্ধান্ত দিয়েছিল।
এছাড়া, হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষকে ওইসব বাড়তি বিল বাদ দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে বিলম্ব চার্জ নিতে এবং দুই মাসের মধ্যে এ নির্দেশ পালনের বিষয়ে পৃথক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
সিলেটের রায়হান হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি মেয়র আরিফের
বাংলাদেশ জ্বালানী নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিইআরসি) জুলাই মাসের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিদ্যুৎ উন্নয়ন সংস্থা (ডিপিডিসি), ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা (ডেসকো), পশ্চিম জোন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা (ডাব্লিউজেডপিসি) ও উত্তর জোন বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থার (এনইএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এই সমন্বিত বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিইআরসির নির্দেশ লঙ্ঘনের জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ৪৩ ধারায় কেন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তার কারণ জানাতে বলেন হাইকোর্ট।
ভৌতিক বিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সম্প্রতি সিএবির দায়ের করা রিট আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সব আদেশ দেন।
রিটের আবেদনের শুনানি চলাকালে আবেদনকারীর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া হাইকোর্টকে বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃপক্ষ বিইআরসির নির্দেশ লঙ্ঘন করে ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেছে। কিন্তু, তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।