ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পিআর, সংস্কার ও জুলাই সনদের দাবিতে রাঙামাটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমিছিল Logo আন্দোলনের ৭ দিনের মধ্যেই ক্লাসে ফিরছে নেপালের শিক্ষার্থীরা Logo কক্সবাজারে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর স্বামীকে খুন, খুনি আটক Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে জামায়াত Logo পিরোজপুরে পুলিশ লাইন্স ফোর্স ব্যারাক সংস্কার কাজের উদ্বোধন Logo মবসৃষ্টিকারী সম্মনয়ক ফারজানা চাঁদাবাজি মামলায় আটক Logo ঝালকাঠিতে বাসন্ডা নদী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার Logo জাকসুর ভিপি হলেন ছাত্রলীগের সাবেক সক্রিয় কর্মী জিতু Logo রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া চষে বেড়াচ্ছে এমপি প্রার্থী ড. ফয়জুল হক Logo ফুলবাড়ীয়ায় জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ

অবশেষে নবজাতক সন্তানকে ফিরে পেলেন মা

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৩:২২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৪৫ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে নবজাতক সন্তানকে ফিরে পেলেন মা

গাইবান্ধা শহরের একটি ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে বিক্রি করে দেয়ার ঘটনা জানার পর জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মা ফিরিয়ে পেলেন তার সন্তানকে।
অতঃপর সেই শিশুটি মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়ে লালন-পালনের জন্য নিজেই দায়িত্ব নিলেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক।
মাতৃহারা শিশুটি মায়ের কাছে ফিরে দেয়ার পর গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের উদ্যােগে, মা আঙ্গুরী বেগম ও তার সন্তানের চিকিৎসাসহ ত্রান ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের শোলাগাড়ি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে গিয়ে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন এসব সহায়তা প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রসূন কুমার চক্রবর্তী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাহিদুর রহমান, পিআইও আনিছুর রহমান।

উল্লেখ্যযে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের শোলাগাড়ি গ্রামের দিনমজুর শাহজাহান মিয়ার গর্ভবর্তী স্ত্রী আমেনা বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিজারের জন্য জেলা শহরের যমুনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।


সেখানে সিজারের পর সন্তানসহ মা ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তি থাকেন।
পরে তাকে রিলিজ দেয়ার সময় ক্লিনিকের পাওনা হয় ১৬ হাজার টাকা।
ওই টাকা পরিশোধ করার মত সামর্থ্য ছিল না শাহজাহান মিয়ার।
এই অবস্থায় তিনি তার নবজাত শিশুটিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের এক নি:সন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করে দিয়ে ক্লিনিকের পাওনা পরিশোধ করেন।

আরও পড়ুন ঃগাইবান্ধায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আটক
কিন্তু সন্তান বিক্রি করে মা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন।
মা অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে থেকে শুধু বিলাপ করে করতে থাকেন।
গত শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রসূণ কুমার চক্রবর্ত্তী ও এনডিসি এসএম ফয়েজ উদ্দিনকে সন্তান হারা বাবা-মার কাছে পাঠান।
পরে তাদের কাছ থেকে সন্তান গ্রহণকারীর পরিচয় জানতে পেরে সেখানে গিয়ে ওইদিন রাতে ওই সন্তানকে তাদের জিম্মায় নিয়ে নেন।
এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্তান গ্রহণকারী ওই ব্যক্তিকে ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেয়া হয়।
পরে সেখান থেকে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দল ওই শিশুটির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মায়ের কোলে তুলে দেন শিশুটিকে।
এসময় ওই পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, শাড়ী, লুঙ্গি ও নগদ টাকা তুলে দেয়া হয়।

অবশেষে নবজাতক সন্তানকে ফিরে পেলেন মা

আপডেট সময় : ০৩:২২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

অবশেষে নবজাতক সন্তানকে ফিরে পেলেন মা

গাইবান্ধা শহরের একটি ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে বিক্রি করে দেয়ার ঘটনা জানার পর জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মা ফিরিয়ে পেলেন তার সন্তানকে।
অতঃপর সেই শিশুটি মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়ে লালন-পালনের জন্য নিজেই দায়িত্ব নিলেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক।
মাতৃহারা শিশুটি মায়ের কাছে ফিরে দেয়ার পর গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের উদ্যােগে, মা আঙ্গুরী বেগম ও তার সন্তানের চিকিৎসাসহ ত্রান ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের শোলাগাড়ি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে গিয়ে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন এসব সহায়তা প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রসূন কুমার চক্রবর্তী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাহিদুর রহমান, পিআইও আনিছুর রহমান।

উল্লেখ্যযে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের শোলাগাড়ি গ্রামের দিনমজুর শাহজাহান মিয়ার গর্ভবর্তী স্ত্রী আমেনা বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিজারের জন্য জেলা শহরের যমুনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।


সেখানে সিজারের পর সন্তানসহ মা ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তি থাকেন।
পরে তাকে রিলিজ দেয়ার সময় ক্লিনিকের পাওনা হয় ১৬ হাজার টাকা।
ওই টাকা পরিশোধ করার মত সামর্থ্য ছিল না শাহজাহান মিয়ার।
এই অবস্থায় তিনি তার নবজাত শিশুটিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের এক নি:সন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করে দিয়ে ক্লিনিকের পাওনা পরিশোধ করেন।

আরও পড়ুন ঃগাইবান্ধায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আটক
কিন্তু সন্তান বিক্রি করে মা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন।
মা অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে থেকে শুধু বিলাপ করে করতে থাকেন।
গত শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রসূণ কুমার চক্রবর্ত্তী ও এনডিসি এসএম ফয়েজ উদ্দিনকে সন্তান হারা বাবা-মার কাছে পাঠান।
পরে তাদের কাছ থেকে সন্তান গ্রহণকারীর পরিচয় জানতে পেরে সেখানে গিয়ে ওইদিন রাতে ওই সন্তানকে তাদের জিম্মায় নিয়ে নেন।
এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্তান গ্রহণকারী ওই ব্যক্তিকে ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেয়া হয়।
পরে সেখান থেকে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দল ওই শিশুটির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মায়ের কোলে তুলে দেন শিশুটিকে।
এসময় ওই পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, শাড়ী, লুঙ্গি ও নগদ টাকা তুলে দেয়া হয়।