ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন নেভাতে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা Logo পানছড়ির মধ্যনগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ও অনুভূতিহীন কর্তৃপক্ষ Logo চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাঁচ কলেজে পাস করেনি কেউ! Logo গরমছড়িতে জমি দখল নিয়ে তাণ্ডব, ফটিকছড়িতে বসতবাড়িতে হামলা! Logo চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের Logo এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের সংখ্যায় বিপর্যয় — মাত্র ৩৪৫ প্রতিষ্ঠান Logo কিশোরগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাট Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর Logo শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো।

অবশেষে সাতক্ষীরা জেলার বহু আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক মেডিকেল কলেজে জরুরি বিভাগ চালু

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৫৩ বার পড়া হয়েছে

সোহরাব হোসেন , সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের মেডিকেল ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অবশেষে মেডিকেল কলেজে চালু করা হয়েছে জরুরি বিভাগ। শনিবার সকালে ফিতা কেটে জরুরি বিভাগের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. কুদরত-ই খুদা, বিএমএ’র সভাপতি ডা. আজিজুর রহমান, ডা. মোখলেছুর রহমান, ডা. রুহুল কুদ্দুস, ডা. কাজী আরিফ আহমেদ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সদস্য অধ্যাপক সালেহা আক্তার প্রমুখ।

উল্লেখ্য: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালু না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যত কর্মজীবন নিয়ে হতাশার মধ্যে ছিলো। অথচ দেশের প্রতিটি মেডিকেল কলেজে জরুরী বিভাগ চালু থাকলেও সাতক্ষীরায় তার ব্যতিক্রম ছিলো। যে কারণে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে জরুরি বিভাগসহ পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করার জন্য মানবন্ধন, স্মারকলিপি, রক্ত দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি করে ২০১১-২০১২, ২০১২-২০১৩, ২০১৩-২০১৪ সেশনের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন থামিয়ে দিলেও তা পূর্ণতা পায়নি। পরবর্তীতে একই দাবিতে ২০১৫, ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে জরুরি বিভাগ চালুর জন্য ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ নিয়মিতভাবে আন্দোলন করে আসছে। প্রতিবার আশ্বাস ও ভয়ভীতি প্রদান করে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় এবং দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ১২ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে কর্মসূচি স্থগিত করা হয় কিন্তু তা বাস্তবায়নের পরবর্তী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

সর্বশেষ ২০২০ সালে ২৪ সেপ্টেম্বর ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ জরুরি বিভাগ চালুর জন্য কর্ম বিরতিতে যায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় আলোচনায় বসেও জরুরি বিভাগ চালুর নিমিত্তে কোন আশানুরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ এক জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় অধ্যক্ষ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা, পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা, সিভিল সার্জন সাতক্ষীরা, তত্ত্ববধায়ক সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক প্রতিনিধি-এর উপস্থিতিতে ৭দিনের মধ্যে জরুরি বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এরই প্রেক্ষিতে ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে জরুরি বিভাগ উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পুনরায় কর্ম বিরতী পালন করেন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর অবশেষে কলেঝ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবির এরপ্রেক্ষিতে শনিবার ২৪ অক্টোবর সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু করেন।

অবশেষে সাতক্ষীরা জেলার বহু আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক মেডিকেল কলেজে জরুরি বিভাগ চালু

আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০

সোহরাব হোসেন , সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের মেডিকেল ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অবশেষে মেডিকেল কলেজে চালু করা হয়েছে জরুরি বিভাগ। শনিবার সকালে ফিতা কেটে জরুরি বিভাগের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. কুদরত-ই খুদা, বিএমএ’র সভাপতি ডা. আজিজুর রহমান, ডা. মোখলেছুর রহমান, ডা. রুহুল কুদ্দুস, ডা. কাজী আরিফ আহমেদ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সদস্য অধ্যাপক সালেহা আক্তার প্রমুখ।

উল্লেখ্য: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালু না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যত কর্মজীবন নিয়ে হতাশার মধ্যে ছিলো। অথচ দেশের প্রতিটি মেডিকেল কলেজে জরুরী বিভাগ চালু থাকলেও সাতক্ষীরায় তার ব্যতিক্রম ছিলো। যে কারণে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে জরুরি বিভাগসহ পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করার জন্য মানবন্ধন, স্মারকলিপি, রক্ত দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি করে ২০১১-২০১২, ২০১২-২০১৩, ২০১৩-২০১৪ সেশনের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন থামিয়ে দিলেও তা পূর্ণতা পায়নি। পরবর্তীতে একই দাবিতে ২০১৫, ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে জরুরি বিভাগ চালুর জন্য ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ নিয়মিতভাবে আন্দোলন করে আসছে। প্রতিবার আশ্বাস ও ভয়ভীতি প্রদান করে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় এবং দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ১২ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে কর্মসূচি স্থগিত করা হয় কিন্তু তা বাস্তবায়নের পরবর্তী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

সর্বশেষ ২০২০ সালে ২৪ সেপ্টেম্বর ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ জরুরি বিভাগ চালুর জন্য কর্ম বিরতিতে যায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় আলোচনায় বসেও জরুরি বিভাগ চালুর নিমিত্তে কোন আশানুরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ এক জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় অধ্যক্ষ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা, পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা, সিভিল সার্জন সাতক্ষীরা, তত্ত্ববধায়ক সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক প্রতিনিধি-এর উপস্থিতিতে ৭দিনের মধ্যে জরুরি বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এরই প্রেক্ষিতে ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে জরুরি বিভাগ উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পুনরায় কর্ম বিরতী পালন করেন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর অবশেষে কলেঝ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবির এরপ্রেক্ষিতে শনিবার ২৪ অক্টোবর সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু করেন।