দক্ষিণ আফ্রিকায় যুব সমাজকে অবাধ যৌনতা থেকে ফেরাতে হিন্দু ও মুসলিম বিবাহ আইন পরিবর্তন করতে যাচ্ছে দেশটি। নতুন খসড়া বিবাহ নীতি প্রবর্তনের পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে করোনা মহামারির কারণে প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হচ্ছে। সম্প্রতি সংসদে স্বরাষ্ট্র বিভাগ জানিয়েছে, আইনটি মূলত ২০২০-২১ অর্থবছরের জনগণের পরামর্শ নিয়ে গেজেট প্রকাশ করা কথা ছিল। এরপর এটি ২০২১ সালের ২১ মার্চের মধ্যে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় জমা দেওয়া হবে।
গত মে মাসে নতুন নীতির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আইন বিভাগ বলেছিল, বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিবাহ নিয়ন্ত্রণের আইনটি সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং আধুনিক, সামাজিক গতিশীলতার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এ কারণে বিবাহ আইনে বিভিন্ন ফাঁকফোকর তৈরি হয়।
পৃথিবী থেকে করোনা উধাও হতে শুরু করেছে: ট্রাম্প
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, ১৯৯৪-এর পরে বিবাহবিধিতে যে সব পরিবর্তন আনা হয়েছে তা যথেষ্ট ছিল না। বর্তমান আইনটিতে এখনও ফাঁকফোকর রয়েছে।
বর্তমান আইনটি হিন্দু-মুসলিম এবং অন্যান্য আফ্রিকান অথবা রাজপরিবারের বিবাহকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার জনসংখ্যার বৈচিত্র্য বিবেচনা করে প্রতিটি ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বিবাহকে আইনিভাবে পাস করা অসম্ভব। এই পটভূমির বিপরীতে ডিএইচএ একটি বিবাহনীতি বিকাশে প্রক্রিয়া শুরু করছে, যা নতুন একক বা সর্বজনীন আইন প্রণয়নের জন্য একটি নীতি ভিত্তি তৈরি করবে।
নতুন বিবাহ আইনটি দক্ষিণ আফ্রিকানদের বিভিন্ন যৌনতা, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক অনুপ্রেরণাকে বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতে সক্ষম হবে।
এটি দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধর্মীয় ও রীতিগত বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ন্যায়সঙ্গত আচরণ এবং সম্মানের সুযোগ দেবে। বিদেশি নাগরিকদের বিবাহের একচ্ছত্রতা এবং নিবন্ধনের বিষয়ে কাজ করবে।