ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেছেন নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই ঢাবি শিক্ষার্থী।
অনশনরত শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ধর্ষণ একটি মহামারিতে পরিণত হয়েছে। এখানে আমিও একজন ভুক্তভোগী। প্রথমে লালবাগ কোতয়ালী থানায় মামলা করেছি। এখন পর্যন্ত কোন আসামিই গ্রেফতার হয়নি। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে আমার আমরণ অনশন কর্মসূচি।
ওসি তরিকুলের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধনে জেলেরা
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘১৭ দিন আগে মামলা করলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কেন এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না? আমার তো মনে হয় পুলিশ প্রভাবিত। কী সেই অজ্ঞাত কারণ যে কারণে কোন আসামিই গ্রেফতার হচ্ছে না?
এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীর পাশে সংহতি প্রকাশ করে অবস্থান নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক তিলোত্তমা শিকদার, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি ফরিদা পারভিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারজানা নিপা, ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক জেরিন তাসনিম পূর্ণি এবং ছাত্রলীগ নেত্রী মহসুনা খাতুন মাইশা, মিতালী মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন নেত্রী।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ওই ছাত্রী লালবাগ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে নুরুল হক নূরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর বাদী কোতোয়ালি থানায় একই অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে নুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগেও তাকে আটক করা হয়। এরপর তাকে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।