DoinikAstha Epaper Version
ঢাকারবিবার ২৯শে জুন ২০২৫
ঢাকারবিবার ২৯শে জুন ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

অভিযোগ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রাথমিক তদন্তের বিধান করতে যাচ্ছে সরকার

Astha Desk
জুন ২৯, ২০২৫ ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

অভিযোগ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রাথমিক তদন্তের বিধান করতে যাচ্ছে সরকার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

থানায় কোনো অভিযোগ দায়েরের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্তের বিধান করতে যাচ্ছে সরকার। এই তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না পেলে পুলিশ তা এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবে না।

মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সরকার দেশে প্রচলিত ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসির) ১৫৪ ধারার সংশোধন করে এমন বিধান করতে যাচ্ছে। এ ছাড়া কোনো মামলার তদন্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগেই অন্তর্বর্তী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআরপিসির ১৭৩ ধারার সংশোধন করা হচ্ছে।

অন্তর্বর্তী তদন্ত প্রতিবেদনে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়া গেলে ম্যাজিস্ট্রেট বা ট্রাইব্যুনালের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আদেশ দেওয়ার বিধান করতে যাচ্ছে সরকার।

আপাতত সিআরপিসির ১৫৪ ও ১৭৩ ধারা সংশোধনে একটি খসড়া অধ্যাদেশ তৈরি করে তা কেবিনেটে (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে) পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টায় উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমরা কিছু বিধান আনছি। এখনই সব খুলে বলছি না, তবে এতটুকু বলতে পারি, মিথ্যা মামলা ও অযাচিত গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। অন্তত কিছুটা হলেও এটি কমবে বলে আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যা-ই করি না কেন, কিছু লোক বলে আমরা পুলিশকে আরও ক্ষমতা দিচ্ছি। আর যদি আমরা না করি, তাহলে লোকে বলে, আমরা কিছুই করছি না। তাই আমরা ঝুঁকি নিচ্ছি।

রাজধানীর একটি হোটেলে ‘অ্যাক্সেসিবল অ্যান্ড ইফেক্টিভ ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমস’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জানা গেছে, দেশে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এসব মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর অনেক নিরীহ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার বিষয়টি বেশ আলোচনায় আসে।

অভিযোগ উঠেছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পূর্বশত্রুতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করা এবং চাঁদাবাজি ও হয়রানি করতেও অনেককে এসব মামলায় আসামি করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মামলায় ‘ইচ্ছামতো’ আসামি করা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতসহ বিভিন্ন ঘটনায় দেড় হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ঢালাওভাবে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে আসামি করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে ১০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। এই পটভূমিতে নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানির বিষয়টি নতুনভাবে সামনে এসেছে।

সমালোচনার মুখে আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিথ্যা মামলা নিয়ে বিব্রত উল্লেখ করে একাধিকবার বক্তব্য রেখেছেন। সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে নিরপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতে দফায় দফায় নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা উপেক্ষিত হয়েছে। সে কারণে সরকার দ্রুত সিআরপিসির দুটি ধারা (১৫৪ ও ১৭৩) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

‘খসড়া সংশোধনী’

ফৌজদারি কার্যবিধি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ নামে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। খসড়ায় কার্যবিধির ১৫৪ ধারা সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। দেশে প্রচলিত ১৮৯৮ সালের মামলার এজাহার দায়ের সংক্রান্ত সিআরপিসির ১৫৪ ধারার বিদ্যমান বিধানে বলা আছে, ‘গুরুতর (আমলে গ্রহণযোগ্য) অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে প্রদত্ত যে কোনো তথ্য যদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে দেওয়া হয়, তবে তিনি নিজে বা তার নির্দেশে তা লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ করবেন এবং তা তথ্যদাতাকে পড়ে শোনাবেন; এবং ওই তথ্য, তা লিখিতভাবে দেওয়া হোক বা উপরোক্তভাবে লিখিত করা হোক না কেন, তা তথ্যদাতার দ্বারা স্বাক্ষরিত হতে হবে; এবং এই তথ্যের সারাংশ একটি বইয়ে লিপিবদ্ধ করা হবে, যা ওই কর্মকর্তা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমেটে সংরক্ষণ করবেন।’

খসড়া অধ্যাদেশের সংশোধনে বলা হয়েছে কার্যবিধির ধারা ১৫৪-এর বিদ্যমান বিধান উপধারা-১ হিসাবে সংখ্যায়িত হবে। এরপর নিন্মরূপ উপধারা ২ যুক্ত করা হবে।

সংশোধনীর মাধ্যমে নতুনভাবে যুক্ত করা উপধারা-২০ এর বিধানে বলা হয়েছে, ‘উপধারা (১)-এ যা-ই থাকুক না কেন, যদি কোনো তথ্য বা অভিযোগ (যা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত নয়) আপাতদৃষ্টিতে অস্পষ্ট, গুজবমূলক, তুচ্ছ বা হয়রানিমূলক বলে প্রতীয়মান হয়, তবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওই অভিযোগ সাধারণ ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করে, তথ্যপ্রাপ্তির সময় থেকে আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে একটি প্রাথমিক তদন্ত করতে পারবেন এর সত্যতা নিরূপণের জন্য; এবং যদি প্রাথমিক তদন্তে প্রতীয়মান হয় যে, তথ্য/অভিযোগটি অস্পষ্ট, গুজবমূলক, তুচ্ছ বা হয়রানিমূলক, তবে তিনি তা উপধারা (১)-এ বর্ণিত বইয়ে (এজাহার) অন্তর্ভুক্ত করবেন না এবং ওই অন্তর্ভুক্তি না করার কারণ লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করবেন এবং সেইসঙ্গে, যদি কোনো তথ্যদাতা থাকেন, তাহলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানিয়ে দেবেন।’

এ ছাড়া মামলার তদন্ত সংক্রান্ত সিআরপিসির ১৭৩ ধারার সংশোধন করা হচ্ছে। সিআরপিসির ১৭৩ ধারার বিদ্যমান বিধানে বলা আছে, প্রতিটি তদন্ত অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব ব্যতিরেকে সম্পন্ন করতে হবে; এবং তদন্ত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন। এই প্রতিবেদন দুই ধরনের হয়। তদন্তে কোনো অপরাধের প্রমাণ পেলে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। প্রমাণ পাওয়া না গেলে দেওয়া হয় চূড়ান্ত প্রতিবেদন।

আরো পড়ুন :  টঙ্গীতে কারখানার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি

তবে এই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা উল্লেখ করা নেই। ফলে মামলার কোনো আসামি নিরপরাধ হলেও প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত আদালতের বারান্দায় ঘুরতে থাকেন। এই প্রতিবেদন দাখিল করতে অনেক সময় বছরে পর বছর এমনকি যুগও পার হয়ে যায়। এতে করে তদন্তকালে কোনো ব্যক্তি নিরপরাধ হলেও তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। এ কারণে সরকার ১৭৩ ধারা সংশোধন করে একটি উপধারা যোগ করতে যাচ্ছে।

খসড়া অধ্যাদেশের নতুন এই উপধারায় বলা হয়েছে, ‘ধারা ১৭৩(১)-এ যা কিছুই থাকুক না কেন, এই অধ্যায়ের অধীনে কোনো মামলার তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে, সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কমিশনার বা জেলা পুলিশ সুপার বা অন্য কোনো পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা (যথাযথ ক্ষেত্রে), তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মামলার তদন্ত অগ্রগতি সম্পর্কে একটি অন্তর্বর্তী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিতে পারেন।

(২) যদি উক্ত অন্তর্বর্তী তদন্ত প্রতিবেদন থেকে প্রতীয়মান হয় যে, কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে, তবে তদন্ত তত্ত্বাবধানকারী পুলিশ কমিশনার, জেলা পুলিশ সুপার বা সমমর্যাদার অন্য কোনো কর্মকর্তা (যথাযথ ক্ষেত্রে) তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ওই প্রতিবেদন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দাখিল করতে নির্দেশ দিতে পারেন। ওই প্রতিবেদন প্রাপ্ত হওয়ার পর, ম্যাজিস্ট্রেট বা ট্রাইব্যুনাল (যথাযথ ক্ষেত্রে), যদি সন্তুষ্ট হন, তবে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতির আদেশ দিতে পারেন—যা অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের কোনো ক্ষতি সাধন করবে না।

(৩) উপধারা (২)-এর অধীনে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও, যদি তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর পর্যাপ্ত ও প্রকৃত প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি অভিযোগিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা ধারা ১৭৩ অনুসারে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য থাকবেন এবং এর জন্য তিনি কোনোভাবে বিরত থাকা চলবে না।

এদিকে সিআরপিসির এ দুটি ধারা সংশোধনের মাধ্যমে পুলিশের হাতে যে ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর মামলা নেওয়ার বিধান মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা যেমন কমাতে পারে, তেমনি পুলিশের মামলা বাণিজ্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।

একইভাবে অন্তর্বর্তী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সুযোগে অনেক নিরীহ মানুষ যেমন দ্রুত প্রতিকার পাবেন, তেমনি প্রভাবশালীদের চাপ অথবা তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সুবিধা গ্রহণের কারণে প্রকৃত অপরাধীর দ্রুততম সময়ে নির্দোষ প্রমাণের পথ তৈরি হতে পারে। এ জন্য নতুন এসব বিধানের যাতে অপব্যবহার না হয়, সেদিকে কার্যকর নজরদারির ব্যবস্থা রাখার দাবি উঠেছে।

হয়রানির আশঙ্কার বিষয়টি আইন উপদেষ্টাও উল্লেখ করেছিলেন। গত বছর ১৯ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘মিথ্যা মামলা নিয়ে নানা রকম প্রতিকার ব্যবস্থার কথা চিন্তা করা হয়েছে। একবার সিদ্ধান্ত হলো ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে পুলিশকে একটি ক্ষমতা দেওয়া হোক যে, তারা এফআইআর করার আগে একটি প্রাথমিক তদন্ত করবেন। তখন বিভিন্ন পক্ষ থেকে বলা হলো, এটা দেওয়া হলে পুলিশকে দ্বিগুণ স্বেচ্ছাচারিতা করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, এখন যেটা চিন্তা করা হচ্ছে, সেটা হলো পুলিশ সুপার (এসপি), জেলা প্রশাসক (ডিসি), জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা—তাদের নিয়ে জেলা পর্যায়ে কোনো কমিটি করা যায় কি না। এ ধরনের একটা রূপরেখা তৈরি করা যায় কি না যে, মামলার এফআইআর করার আগে এই কমিটি যাচাই করে দেবে।’

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির গতকাল এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি, এই সংশোধনী মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে রেহাই দিতে ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এজন্য পুলিশ যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, অযথা কেউ হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

অপব্যবহারের আশঙ্কার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। পাশাপাশি অপব্যবহার যাতে না করতে পারে সেজন্য কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য মামলা দায়ের ও অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেখভাল করার জন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।’

‘’সিআরপিসির আরও সংশোধন”

এ দুটি বিধানের বাইরেও বিচার বিভাগের সংস্কারের অংশ হিসেবে আইন মন্ত্রণালয় থেকে পুরো সিআরপিসি সংশোধনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে। পুরোপুরি সংশোধনের কাজ শেষ হতে এখনো মাসখানেক লাগতে পারে। সূত্র জানিয়েছে, সংশোধনের আলোচনায় এখন পর্যন্ত যেসব বিষয় এসেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফৌজদারি কার্যবিধির গ্রেপ্তার ও রিমান্ড সংক্রান্ত ৫৪ ও ১৬৭ ধারার সংশোধন।

আসামি গ্রেপ্তার ও আটক বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা অন্তর্ভুক্তের প্রস্তাব এসেছে। এ ছাড়া পরোয়ানা ছাড়া কোথাও তল্লাশি করে কিছু জব্দ করলে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে রসিদ দিতে হবে। বর্তমান আইনে জব্দ তালিকার (সিজার লিস্ট) বিধান থাকলেও কোনো রসিদ দেওয়া হয় না।

কাউকে গ্রেপ্তারের পর মেডিকেল চেকআপ বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা যায় কি না, করলে সেটি কীভাবে করা যাবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর ঘটনাস্থলেরই কাউকে সাক্ষী হিসেবে রাখা যায় কি না, তা নিয়েও আলাপ-আলোচনা চলছে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৩:৪২
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৮:৫৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৩:৪৭
  • ১২:০৪
  • ১৬:৪১
  • ১৮:৫৩
  • ২০:২০
  • ৫:১২