৪ মে মঙ্গলবার বিশ্ব হাঁপানি দিবস বা ওয়ার্ল্ড অ্যাজমা ডে। ১৯৯৮ সাল থেকে সারা বিশ্বে প্রতিবছর পালিত হয় এই দিনটি। স্বাস্থ্যের দীর্ঘমেয়াদি যত রোগ রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো হাঁপানি বা অ্যাজমা। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সারা বিশ্বে প্রায় ১৫ কোটিরও বেশি।
দিবসটি সর্বপ্রথম পালন করা হয় পর্তুগালের বার্সেলোনা শহরে। সেই বছর অ্যাজমা সচেতনতা বাড়াতে বিশ্বের মোট ৩৫টি দেশে এই দিনটি পালন হয়।
চলতি বছর বিশ্ব অ্যাজমা দিবসের মূল থিম হল অ্যাজমা সম্পর্কে ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন’ (Uncovering Asthma Misconceptions)। “অ্যাজমা বা হাঁপানি কোনো জটিল অসুখ নয়৷ সঠিক চিকিৎসায় এই রোগ থেকে সেরা ওঠা সম্ভব। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন৷ আনন্দে জীবন কাটান।”
বায়ুদূষণের কারণে এই রোগটির প্রকোপ অনেক বেশি এই দেশে। অনেকে বুঝতেই পারেন না তিনি অ্যাজমা রোগে ভুগছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র রিপোর্ট অনুযায়ী, নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে হাঁপানি রোগে ৮০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই রোগটি বংশগত কারণে হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আবার অনেকের হয় ধুলাবালি ও পরিবেশগত কারণে।
হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগটি পুরোপুরি সারানো সম্ভব হয়। কিন্তু চেষ্টা করলেই তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে যথাযথ সচেতনতাও দরকার।
এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, চিকিৎসাধীন হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ঘুমের ব্যাঘাত, ক্লান্তি এবং দুর্বলতার শিকার হতে পারেন। হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের আর্থিক সমস্যা সহ স্কুল এবং কাজের ক্ষেত্রেও নানা অসুবিধা তৈরি হতে পারে।
করোনা মহামারিতে ভয়াবহ উপসর্গই শ্বাসকষ্ট। তাই হাঁপানি থাকলে তাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।