রবিবার দুপুরে পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি প্রার্থীর বাড়ি ও নির্বাচনী কার্যালয়েও হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার জন্য আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট কাজী খান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত জেনে তার কর্মী-সমর্থকরা আমার লোকদের ওপর হামলা করেছে। বসতবাড়িসহ আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। আমাকে নির্বাচনী প্রচার করতে না দেওয়ার ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে।হামলায় ২০ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির হিমু জানান, এসব হামলায় আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা শেষে পৌর শহরে শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিএনপি মেয়র প্রার্থী ও তার লোকজন হামলা করলে আওয়ামী লীগের ১৫ নেতা কর্মী আহত হয়।
হামলা, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার আল মামুন ও শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খোন্দকার ইমাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আল মামুন জানান, বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে তাদেরকে শান্ত থাকতে বলেছি। হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থকরা দা, লাঠিসহ মোটরসাইকেল নিয়ে পৌর শহরে মিছিলসহ মহড়া দেয়। এতে স্থানীয় লোকজন আতংকিত হয়ে পড়ে।
এদিকে শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে ‘বিএনপি-জামায়াতের বহিরাগত চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও দাগী আসামি সারাদেশ থেকে শ্রীপুরে এনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় অবৈধভাবে প্রচার ও নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছে’ বলে অভিযোগ করেন শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম মোল্লা।
এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
অপর দিকে শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করা এবং নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন।