শুরুতে তিনি পেশায় ছিলেন একজন রিকশাচালক। রিকশায় চালানো সময় গেয়ে বেড়াতেন নানারকম গান। তার গানে তখন মুগ্ধ হয়েছেন কত যাত্রী ও পথচারীরা। নিজের সুরেলা কণ্ঠের ডাক পেয়েছিলেন তিনি দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে। ইত্যাদির মঞ্চে গেয়েছিলেন সংগীতশিল্পী কিশোর কুমারের গাওয়া ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ গানটি । তার কন্ঠে গাওয়া ‘তোমার হাত পাখার বাতাসে’ গানটি প্রকাশ হয় ইত্যাদিতে। সেই মঞ্চের জনপ্রিয়তা পাওয়া সেই গায়ক আর কেউ নয় আকবর আলী। সেই জনপ্রিয়তায় নিয়মিত শিল্পী হয়ে ওঠেন আকবর। দেশে-বিদেশের মঞ্চেও গান গেয়েছেন এই গুণী শিল্পী।
সম্প্রতি ডায়াবেটিস ও কিডনিরোগসহ শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন আকবর আলী। গায়কের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ আজীবন ফ্রি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএসএমএমইউ তিনি সারাজীবন বিনামূল্যে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা পাবেন। সোমবার এই কণ্ঠশিল্পী তার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পাপিয়াকে দেখানো হলো মায়ের মরদেহ
তিনি পোস্টে লিখেছিলেন, ‘আজ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন।আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন সবসময় উনাকে সুস্থ রাখে এবং নেক হায়াত দান করেন। কারণ আমি উনার প্রতি খুব বেশি কৃতজ্ঞ। উনার মতো একজন প্রধানমন্ত্রী আমাদের আছে বলেই আমরা এখনো বাঁচার স্বপ্ন দেখি। আমি নাম না জানা একজন মানুষ। তারপরও গতবার আমি যখন অসুস্থ হয়েছিলাম তখন উনি আমাকে খুব বড় একটা সাহায্য করেছিলেন।আর এবার যখন অসুস্থ হয়ে উনার দারস্থ হয়েছিলাম তখন উনি আমার পরিবারের কথা চিন্তা করে আগের সঞ্চয়পত্রটা স্থির রেখে নতুনভাবে চিকিৎসা করার জন্যর দুই লক্ষ টাকার চেক এবং সারাজীবন পিজি হসপিটালে আমার চিকিৎসা ফ্রি করে দিয়েছেন। এমন প্রধানমন্ত্রী পেয়ে সত্যিরই আমরা ধন্য । আল্লাহ তুমি এই জনদরদি মানুষটাকে খুব ভালো রেখ। আমিন।’
এবিষয়ে গণমাধ্যমকে আকবর বলেন, আমার স্যার (হানিফ সংকেত) প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর উনি আমার অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্যারের কথা শুনেছেন। তিনি আমার জন্য আরো দুই লাখ টাকার চেক বরাদ্দ করেন এবং পিজি (বিএসএমএমইউ হাসপাতাল) আজীবন ফ্রি করে দিয়েছেন। আমি আমার স্যার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
আকবর আরো বলেন, ৯ সেপ্টেম্বর চেক ও কাগজপত্র ইস্যু হয়েছে, তারা গ্রহণ করেছেন ২০ সেপ্টেম্বর। এছাড়া আগামী ১ অক্টোবর ভারতে অ্যাপয়েনমেন্ট নেওয়া রয়েছে।
আকবর বলেন, ‘আমি ডিপজল ভাই ও জায়েদ ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। যখন যা লাগে ১০ হাজার ২০ হাজার ডিপজল ভাই পাঠিয়ে দিয়েছে। ভারতে চিকিৎসার খরচ বহন করবেন। ডিপজল ভাইয়ের আগ্রহেই ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। ওখান থেকে ফিরে এলে ফের একটা অ্যাপয়েনমেন্টের ডেট দেবে। আপনাদের দোয়ায় আশা করি, সুস্থ হয়ে উঠব।’
প্রসঙ্গত, ডায়াবেটিস ও কিডনিরোগসহ বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত কণ্ঠশিল্পী আকবরকে গত ঈদের পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেন এই সুরেলা কন্ঠ শিল্পী।