কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়াও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তারা হলেন- সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান, সাবেক সিনিয়র সচিব আলমগীর হোসেন খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান ও সাবেক জেলা জজ রাশিদা সুলতানা।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তাদের নিয়োগ দিয়েছেন। এরপরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নিয়োগ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এর মধ্য দিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ১৩তম নির্বাচন কমিশন গঠিত হলো। নির্বাচন কমিশন আইনের অধীনে গঠিত এটিই প্রথম কমিশন। রোববার শপথ নেওয়ার পরই তারা দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
দায়িত্ব পাওয়ার পর ব্যক্তিগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশনারগণ। তারা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করবেন বলে জানান। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতাও কামনা করেন তারা।
কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিগত কমিশন পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিদায় নিয়েছেন। ওইদিন থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদ শূন্য রয়েছে। নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা শপথ গ্রহণ শেষে ওই পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তাদের পাঁচ বছরের মেয়াদে আগামী জাতীয় সংসদসহ সব স্তরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো গত ২৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন পাশ হয়। ওই আইনের আলোকেই আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি।