আটক, মামলা ও ভাংচুরের বিবরণ দিয়েছে খাগড়াছড়ি বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টারঃ
অবরোধ চলাকালীন খাগড়াছড়ি জেলায় অবরোধের ২য় দিন ১নভেম্বর মাটিরাঙ্গা উপজেলায় পুলিশের নেতৃত্বে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মাটিরাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপি দলীয় কার্যালয় ব্যাপক ভাংচুর ও নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের পরিবারের উপর হামলা করে আহত করে। ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর থেকে ১ ও ২ নভেম্বর/২৩ ইং অবরোধ চলাকালীন আটককৃতদের সংখ্যা ও বিবরণ দিয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি।
নিপু আহমেদ
সহ দপ্তর সম্পাদক
জেলা বিএনপি,
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক নিপু আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তি মূলে জানা যায়, ২৮ অক্টোবর/২৩ তারিখে ঢাকায় মহাসমাবেশ থেকে ১১ জন, হরতাল-অবরোধ চলাকালীন সময়ে খাগড়াছড়িতে ২৯ অক্টোবর ১০ জন, ৩০ অক্টোবর ৭ জন, ৩১ অক্টোবর ৯ জন, ১ নভেম্বর ১২ জন, ২ নভেম্বর ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি মূলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গুলো হলোঃ-
১) মাটিরাঙ্গা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় ১টি টিভি, ১শ ৮০ টি চেয়ারসহ যাবতীয় আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে, যার ক্ষতির পরিমাণ ১০ (দশ লক্ষ) টাকা।
২) মাটিরাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহাবায়ক শহিদুল ইসলামের ৩ টি বসত বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করা হয়।
৩) মাটিরাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ রাব্বির বসত বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করা হয়।
৪) দীঘিনালা উপজেলার বড় মেরুং গ্রামের উপজেলা যুবদলের সদস্য মোঃ ইয়াকুব আলীর দোকান ভাংচুর ও লুটপাট হয়।
৫) মহালছড়ি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল হোসেনের দোকান লুটপাট ও ভাংচুর করে।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মহাসমাবেশ, শান্তিপূর্ণ হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ীতে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা এক সাথে অভিযান চালাচ্ছে। অনেক নেতাকর্মীর বাড়ী, দলীয় অফিসের আসবাবপত্র তছনছ করা হয়েছে। বাড়ীতে থাকা নারীদের লাঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার ও নেতা-কর্মীদের আটকেরের নামে পুলিশী হয়রানী বন্ধ করার দাবী জানিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ৫৬টি মামলা চলমান রয়েছে। এবারের হরতাল-অবরোধের সময় এখন পর্যন্ত ৯ টি দায়ার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত বিএনপির মোট কতো নেতা-কর্মী ৫৭ জন আটক হয়েছে, তার মধ্যে ঢাকায় ১১ জন। এবারের হরতাল-অবরোধে কতোজন নেতা-কর্মী ৪৬ জন আটক হয়েছে।