এম ওসমান, যশোর প্রতিনিধিঃ আটক ৪ বাংলাদেশিকে ৬মাস পর ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
রোববার (৮ নভেম্বর) বিকালে বেনাপোল চেকপোস্টে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
এই ৪ বাংলাদেশি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে গমন করেছিলেন। সেখানে তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। এরপর তারা প্রায় ৬ মাস ভারতের কেরালা প্রদেশের একটি শেল্টার হোমে থেকে আজ দেশে ফিরেছে।
ফেরত আসারা হলো, নিলফারামারি জেলার মোতাহার আলীর ছেলে লিটন মিয়া (৩৪), আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে আব্দুল ওহাব (৩০), মোখলেছুর রহমানের ছেলে ইমদাদুল হক (৪৫) ও পঞ্চগড় জেলার মোখলেছ মিয়ার ছেলে সাইদুর রহমান (২৫)।
বেনাপোল ইমিগেশন পুলিশ জানায়, এরা ভারতের কেরালা প্রদেশে যেয়ে ভিসার মেয়াদ শেষ হলে সে দেশের পুলিশকে ঘটনাটি জানালে পুলিশ তাদের আটক করে এবং একটি শেল্টার হোমে রাখে। এছাড়া ভারতে কোন বিদেশি নাগরিক ৩ মাস থাকলে তাদের নিকটস্থ থানায় এফআর ও একটি রিপোর্ট করতে হয়। এই ৪ বাংলাদেশি থানায় এফআর ও রিপোর্ট করেনি। এরপর তাদের ভিসার মেয়াদ শেষে তারা পুলিশকে জানালে তাদের আটক করে একটি শেল্টার হোমে রাখে। এরপর দু’দেশের চিঠি চালাচাললির পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনায়লয়ের অনুমোদনের পর আজ তাদের দেশে ফেরত পাঠায়।
সংসদে ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বিল-২০২০’ উত্থাপন
সংসদে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বিল উত্থাপন।সামরিক সরকারের সময়ে প্রণীত মাদরাসা শিক্ষা অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করতে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বিল-২০২০’ নামে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে।
আজ রবিবার বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনকালে শিক্ষা মন্ত্রী উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘এবতেদায়ি, দাখিল এবং আলিম পর্যায়ের সকল শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বোর্ড হতে প্রাপ্ত ইসলামি সনদধারী শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে নতুন নতুন উদ্যেক্তা সৃষ্টি ও কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিদ্যমান অধ্যাদেশ রহিতক্রমে বিলটি অনুমোদন করা অতীব জরুরি ও যুক্তিযুক্ত।’
সংসদে উত্থাপিত বিলে অধ্যাদেশে উল্লিখিত ‘বোর্ড’ শব্দের পরিবর্তে ‘পরিচালনা পর্ষদ’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ১৩ জনের পরিবর্তে ১৫ জন করা হয়েছে। আর রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের মতো মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমাও ৬০ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে বিলে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশ অনুসারে এতোদিন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড চলে আসছিল। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সামরিক শাসন আমলে প্রণীত যেসব আইন বা অধ্যাদেশের এখনও প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলোকে পরিমার্জন করে বাংলায় রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যে কারণে এই বিলটি আনা হয়েছে।