১৫ বছর বয়সী রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আবরার গত বছর পহেলা নভেম্বর বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে, কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে মারা যায়। সন্তানের মৃত্যুর পর আবরারের বাবা আদালতে ১০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। মঙ্গলবার এ মামলায় আসামিদের অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আদালতে হাজির হন আবরারের বাবা।
এরপর আদালতে হাজির হন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হকসহ ১০ আসামি।
কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রেসিডেন্সিয়াল স্কুলছাত্র নাঈমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুতে পুরো দেশ শোকাহত। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) এ মামলায় কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হক, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন আদালত। একই সঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ জেনারেটরের তার থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবরারের মৃত্যু হওয়ায় এর জন্য কারা দায়ী তা নিরূপণ হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন আদালত। এদিকে শুনানিতে ত্রুটিপূর্ণ জেনারেটরের তারের দায় নিয়ে ডেকোরেটর প্রতিষ্ঠান ও আয়োজক প্রতিষ্ঠানের একে অপরকে দোষারোপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আবরারের বাবা। ২৭ অক্টোবর এ মামলার ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।
নলছিটিতে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে এক যুবকের করুণ মৃত্যু
শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে আদালতকে জানান, কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে থাকা জেনারেটরের ত্রুটিপূর্ণ তারের জন্যই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আবরার। আদালত অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব কার ছিল জানতে চাইলে, ডেকোরেটর প্রতিষ্ঠানের চারজন ও প্রথম আলোর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা কবির বকুল একে অন্যকে দোষারোপ করেন। পরে আদালত আদেশের জন্য ২৭ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেন।
এদিকে আবরারের বাবা সন্তানের মৃত্যুর জন্য আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেন।
আবরারের বাবা মুজিবর রহমান বলেন, প্রতিটা মুহূর্তে আমার স্মৃতি, আশা-ভরসা সব শেষ।
যদিও প্রথম আলোর আইনজীবী আবরারের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে আদালতকে জানান।
প্রথম আলোর আইনজীবী এহসানুল হক বলেন, যারা আছেন তারা কেউ পেনাল কোডের অধীনে তারা কেউ কোনো অপরাধ করেননি।
চলতি বছরে ১৬ জানুয়ারি বিচারকি আদালতে এ মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন তারা।