ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমের মুকলে ছেয়ে গেছে গাছ , বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
  • / ১০১০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে আমের মুকলে ছেয়ে গেছে গাছ , বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা । আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা / ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে / মামার বাড়ে যাই। ঝড়ের দিনে মামার দেশে / আম কুড়াতে সুখ, পাকা জামের মধুর রসে / রঙিন করি মুখ…।’

পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার সার্থকতা পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল। সরেজমিনে দেখা যায়, আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা ও অসাধারণ গাছ প্রেমিরা । এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুয়ারী,বসতবাড়ি সহ ৫ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে আমের ফলন চাষ করা হচ্ছে এবং আম বাগানের সংখ্যা ১ হাজার ৮ শত ৪৪টি । ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আম ফলনের রোগ -বালাইয়ে সার্বিক সহযোগিতার কথা নিশ্চিত করেন ।

মোহাম্মদ মিলন আকতার,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:

ট্যাগস :

আমের মুকলে ছেয়ে গেছে গাছ , বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

আপডেট সময় : ০৭:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে আমের মুকলে ছেয়ে গেছে গাছ , বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা । আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা / ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে / মামার বাড়ে যাই। ঝড়ের দিনে মামার দেশে / আম কুড়াতে সুখ, পাকা জামের মধুর রসে / রঙিন করি মুখ…।’

পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার সার্থকতা পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল। সরেজমিনে দেখা যায়, আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা ও অসাধারণ গাছ প্রেমিরা । এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুয়ারী,বসতবাড়ি সহ ৫ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে আমের ফলন চাষ করা হচ্ছে এবং আম বাগানের সংখ্যা ১ হাজার ৮ শত ৪৪টি । ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আম ফলনের রোগ -বালাইয়ে সার্বিক সহযোগিতার কথা নিশ্চিত করেন ।

মোহাম্মদ মিলন আকতার,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: