সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আরও একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কারাগার থেকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী আল ফারাবীর আদালত শুনানি শেষে তাদের একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর মধ্যে আনিসুল হক ও পলককে তিন মামলায় এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে সকালে তাদের সিএমএম আদালতে এনে তাদের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল ৮টা ১০ মিনিটে তাদের আদালতের এজলাসে ওঠানো হয়। তাদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। আন্দোলনে গুলি করে শত শত মানুষ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয় আওয়ামী লীগের নেতা, সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের। ইতোমধ্যে দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে কয়েকশ মামলা হয়েছে, যার বেশির ভাগই হত্যা মামলা।
ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর আত্মগোপনে যান দলটির সব নেতা। তাদের কেউ কেউ বিদেশে পালিয়ে যান। আর যারা দেশে রয়েছেন তারাও গা ঢাকা দেন। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রী-উপদেষ্টা ও বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ১৩ আগস্ট নৌপথে পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই দিন পর ১৫ আগস্ট সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।