আরপিও সংশোধনী বাতিলে রাজি হয়নি উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০১:১৩:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
 - / ১০৪৪ বার পড়া হয়েছে
 
আরপিও সংশোধনী বাতিলে রাজি হয়নি উপদেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টারঃ
জোট শরিকদের অভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ দিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী বাতিলে এবার আপত্তি জানিয়েছেন উপদেষ্টারা। তাদের মতে,
১০ দিনের ব্যবধানে সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী বাতিলে আপত্তি জানিয়েছেন উপদেষ্টারা। এর আগে জোট শরিকদের অভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ দিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশজারী করা হয়।
সোমবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে আরও পর্যালোচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠক সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
গণভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণ ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই সম্প্রতি আরপিও সংশোধন নিয়ে দলগুলোর ভেতরে মতভেদ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির সঙ্গে গোপন আঁতাতের অভিযোগ তোলে জামায়াত ও এনসিপি।
গতকালের বৈঠক শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুজন উপদেষ্টা বলেন, আরপিওর সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ায় আবার পরিবর্তন আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে উপদেষ্টাদের মতভেদের কারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
কয়েকজন উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনে যেহেতু অনেক দল আপত্তি জানিয়েছে, তাই আরপিও আবার সংশোধন দরকার। তবে কেউ কেউ বলেছেন, আরপিও আবার সংশোধন করলে বিতর্ক বাড়বে। কারণ বিএনপি আরপিও সংশোধনের কথা বললেও অনেক দল সেটা চায় না। এ জন্য আরপিওর বিষয়টি আরও পর্যালোচনা করতে আইন মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়।
এর আগে ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বড় পরিবর্তন এনে আরপিও সংশোধনে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিল উপদেষ্টা পরিষদ। এতে জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। সেই সুযোগ বন্ধ করা হয় আরপিও (২০ ধারা) সংশোধনের মাধ্যমে।
সরকার গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আমলেও এই সুযোগ বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে পাঠানো প্রস্তাবে এই সুপারিশ অপরিবর্তিত রাখা হয়।
বিএনপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতেই উপদেষ্টা পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে ২৩ অক্টোবরের সিদ্ধান্ত পাল্টে বিএনপির দাবির বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়।
এরপরই জামায়াতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তাদের আপত্তি তুলে ধরে। একই সঙ্গে এনসিপির পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে ‘নিরপেক্ষতা’ ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাঁর কাছেই চিঠি পাঠানো হয়। পাশাপাশি দলটির পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনকেও চিঠি দেওয়া হয়।
ইসি কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আরপিওর ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সংশোধনী বহাল থাকবে কি থাকবে না, সেটা এখন আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। এটা এখন আর ইসির হাতে নেই।
																			








