বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত হয়েছে। জাতিসংঘ, রেডক্রস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরে এবার এই দেশ দুটিকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানালো ইরান। যুদ্ধে লিপ্ত এই দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে আনতে মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছে দেশটি।
দুই দেশের সংঘাতে আজারবাইজানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটির এই ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট আর্মেনিয়া। তুরস্কের এই ভূমিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছে দেশটি।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান দুইটি দেশেরই সীমান্তে অবস্থিত ইরান। তাই যুদ্ধ থামাতে এবার ইরানও পদক্ষেপ নিয়েছে। দুই দেশকেই শান্তিপূর্ণভাবে বৈঠকে বসার অনুরোধ জানিয়েছে ইরান। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দেশই সাড়া দেয়নি। ইরান জানিয়েছে, সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সব ধরণের চেষ্টা করবে তারা।
সোমবারেও আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সংঘর্ষে একাধিক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার কামান দিয়ে আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গানজার একাংশ ধ্বংস করে দিয়েছে আর্মেনিয়া। সোমবার তাদের গোলায় বিধ্বস্ত হয়েছে আজারবাইজানের আরেকটি শহর টারটার। অন্য দিকে, আর্মেনিয়াও জানিয়েছে, আজারবাইজানের আক্রমণে বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখের রাজধানী ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে।
এখন পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী নাগোর্নো-কারবাখেই কমপক্ষে ২২০ জন যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই আর্মেনিয়ার সেনার মদতে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। এছাড়া ৮২ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আজারবাইজানে অন্তত ২৪ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের কোনো পক্ষই সেনা মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেয়নি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।