নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছে। গত দু’দিন ধরে চলা সংঘর্ষে সোমবার পর্যন্ত ৮৪ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরো ১১ জন বেসামরিক লোক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে আজারবাইজানের ৯ জন ও আর্মেনিয়ার ২ জন। এনিয়ে মোট ৯৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার এ সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
সাবেক সোভিয়েতভুক্ত এ দুটি দেশ ১৯৯০ সাল থেকেই আঞ্চলিক বিরোধে জড়িয়ে আছে। ২০১৬ সালে এসে তা মারাত্মক রূপ নেয়। এ প্রেক্ষাপটে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস অবিলম্বে এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের তিনটি মর্টার আঘাত হেনেছে ইরানে
মহাসচিবের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, গুতেরেস অবিলম্বে উভয়পক্ষকে এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য জোরালো আহ্বান জানান। বিলম্ব না করে অর্থপূর্ণ আলোচনায় ফেরারও আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে নাগরনো কারাবাখ নিয়ে রোববার নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। ব্যাপক গোলাগুলির পর পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থায় পৌঁছায়।
এ প্রেক্ষাপটে আর্মেনীয় সরকার সামরিক আইন জারি করে নিজ জনগণকে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হতে বলেছে। আর্মেনিয়ার দাবি, প্রথমে আজারবাইজান বাহিনী তাদের বাহিনী লক্ষ্য করে গোলা ছোঁড়ে।
কিন্তু আজারবাইজান বলছে, আর্মেনিয়ার বাহিনীই প্রথমে তাদের সেনা ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করে।