সারাবিশ্ব যখন করোনা মহামারির আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তখন প্রতিবেশী দু’টি দেশ যুদ্ধের খেলায় মেতে উঠেছে। সম্প্রতি বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
দু’পক্ষের ওই সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। রোববার প্রতিবেশী এই দু’দেশের সংঘর্ষে আহত হয়েছে আরও শতাধিক মানুষ। আর্মেনিয়ায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে আজেরবাইজানে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
আর্মেনিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্মেনিয়ার ১৬ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে আহত হয়েছে আরও শতাধিক।
অপরদিকে, আর্মেনিয়ায় আরও দু’জন বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী ও একজন শিশু। এছাড়া আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলাবর্ষণে আজারবাইজানের একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেশী এই দু’দেশই এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তারা দু’টি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়।
সাবেক মন্ত্রী যশোবন্ত সিং মারা গেছেন
আর্মেনিয়া বলছে, আজারবাইজান প্রথমে বিমান ও কামান দিয়ে হামলা শুরু করেছে। পরবর্তীতে তারা সামরিকভাবে এর জবাব দেওয়া শুরু করেছে এবং সামরিক বাহিনী ওই অঞ্চলে হামলার জন্য সংঘবদ্ধ হয়েছে।
অপরদিকে আজারবাইজান বলছে, চারদিক থেকে শুরু হওয়া গোলাবর্ষণের জবাব দিয়েছে তারা। দু’পক্ষই জানিয়েছে যে, এই সংঘাতে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বিতর্কিত ওই অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ চলছে। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার তারা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দু’দেশকেই তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দু’দেশকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। তবে এ বিষয়ে কর্ণপাত করেনি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সরকার।
এদিকে, এই সংঘাতের জন্য আর্মেনিয়াকেই দায়ী করেছে আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অপরদিকে, তাৎক্ষণিকভাবে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।