ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল Logo পানছড়িতে অসহায়, গরীব ও দুস্থের মাঝে ৩ বিজিবির মানবিক সহায়তা বিতরণ

আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করা কি বৈধ?

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১১০০ বার পড়া হয়েছে

অনেক সময় দেখা যায়, কাউকে না জানিয়ে শুধু ছেলে ও মেয়ে নিজেরা একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করে ফেলে। আর এসব বিয়েতে থাকে না কোনো সাক্ষী। সেক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে বলে থাকে যে, আমরা আল্লাহকে সাক্ষী রেখে দু’জনে বিয়ে করেছি। প্রশ্ন হলো-

কাউকে না জানিয়ে ছেলে এবং মেয়ে দু’জনে মিলে শুধু আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলে, সে বিয়ে কি সংগঠিত হবে? কিংবা তা কি বৈধ হবে? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনাই বা কী?

না, আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলে তা সংগঠিত হবে না। ইসলামের দিকনির্দেশনা হচ্ছে বিয়ের জন্য সাক্ষী শর্ত।  সাক্ষী ছাড়া বিয়ে সংগঠিত হবে না। আর বিয়ে হলেও তা বৈধ হবে না। হাদিসে এসেছে-

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনতারা হল ব্যভিচারিনী- যারা সাক্ষী ছাড়া নিজেরাই নিজেদের বিবাহ করে নেয়।’ (তিরমিজি)

সময়ের গতিধারায় অনেক কিছুই বদলেছে। বর্তমান সময়ে অনেকে বিরাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিয়ে শাদি করে থাকেন। আবার অনেকে কোর্ট ম্যারেজসহ নানা ধরনের স্বল্পপরিসর বিয়ের আয়োজন করে থাকে। তবে কোনো নারী ও পুরুষ সাক্ষী ছাড়া শুধু আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলে, সে বিয়ে সংঘটিত হবে না।

কেননা বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য আবশ্যক ও ন্যূনতম শর্ত হলো-

– দুই জন প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী পুরুষ অথবা

– একজন প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী পুরুষ ও দুইজন নারী।

এসব পুরুষ ও নারী বিয়ের ইজাব (প্রস্তাব) ও কবুল (গ্রহণ) করার বিষয়টি বর-কনের মুখ থেকে নিজ নিজ কানে শুনবে। আর এর মাধ্যমেই ছেলে-মেয়ের বিয়ের বন্ধন বৈধ হবে। (বাহরুর রায়েক, দুররুল মুখতার, ফাতহুল কাদির, হেদায়া)

ট্যাগস :

আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করা কি বৈধ?

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

অনেক সময় দেখা যায়, কাউকে না জানিয়ে শুধু ছেলে ও মেয়ে নিজেরা একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করে ফেলে। আর এসব বিয়েতে থাকে না কোনো সাক্ষী। সেক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে বলে থাকে যে, আমরা আল্লাহকে সাক্ষী রেখে দু’জনে বিয়ে করেছি। প্রশ্ন হলো-

কাউকে না জানিয়ে ছেলে এবং মেয়ে দু’জনে মিলে শুধু আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলে, সে বিয়ে কি সংগঠিত হবে? কিংবা তা কি বৈধ হবে? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনাই বা কী?

না, আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলে তা সংগঠিত হবে না। ইসলামের দিকনির্দেশনা হচ্ছে বিয়ের জন্য সাক্ষী শর্ত।  সাক্ষী ছাড়া বিয়ে সংগঠিত হবে না। আর বিয়ে হলেও তা বৈধ হবে না। হাদিসে এসেছে-

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনতারা হল ব্যভিচারিনী- যারা সাক্ষী ছাড়া নিজেরাই নিজেদের বিবাহ করে নেয়।’ (তিরমিজি)

সময়ের গতিধারায় অনেক কিছুই বদলেছে। বর্তমান সময়ে অনেকে বিরাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিয়ে শাদি করে থাকেন। আবার অনেকে কোর্ট ম্যারেজসহ নানা ধরনের স্বল্পপরিসর বিয়ের আয়োজন করে থাকে। তবে কোনো নারী ও পুরুষ সাক্ষী ছাড়া শুধু আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলে, সে বিয়ে সংঘটিত হবে না।

কেননা বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য আবশ্যক ও ন্যূনতম শর্ত হলো-

– দুই জন প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী পুরুষ অথবা

– একজন প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী পুরুষ ও দুইজন নারী।

এসব পুরুষ ও নারী বিয়ের ইজাব (প্রস্তাব) ও কবুল (গ্রহণ) করার বিষয়টি বর-কনের মুখ থেকে নিজ নিজ কানে শুনবে। আর এর মাধ্যমেই ছেলে-মেয়ের বিয়ের বন্ধন বৈধ হবে। (বাহরুর রায়েক, দুররুল মুখতার, ফাতহুল কাদির, হেদায়া)