আশাশুনিতে ঈদ পরিণত হয়েছে বিসাধে, হাজারো পরিবারে জ্বলেনি চুলা
জেলা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার
খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙনে প্লাবিত গ্রামগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরের জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় নতুন করে আরও কয়েকশ ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। ফলে হাজার হাজার পরিবারে রান্নার চুলা জ্বলেনি।
আনুলিয়া ইউনিয়নের চেঁচুয়া গ্রামের বাসিন্দা রওশন আরা বেগম বলেন, সকাল থেকে কিছু শুকনো খাবার দিয়ে সন্তানদের চালিয়েছি। কিন্তু দুপুরে রান্না করার কোনো সুযোগ পাইনি। চারপাশে শুধু পানি আর পানি। চুলা তো ভিজেই গেছে, জ্বালানোর মতো শুকনো কাঠও নেই।
একই কথা বলেন পারবিছুট গ্রামের দিনমজুর আব্দুল করিম বলেন, বউ-বাচ্চারা না খেয়ে আছে। কোথাও শুকনো জায়গা নেই যে সেখানে চুলা জ্বালাব। পাশের বাড়ির লোকজনও একই অবস্থায় আছে। অনেকে শুকনো মুড়ি, চিড়া খেয়ে আছে, কিন্তু ছোট বাচ্চাদের জন্য এসব কষ্টকর।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকারি সহায়তা এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে পৌঁছায়নি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে জায়গা সংকট থাকায় অনেকে গৃহস্থালির জিনিসপত্র নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে সেখানে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে।
আনুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস বলেন, পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খারাপ হচ্ছে, দুপুরের জোয়ারে আরও নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে, মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে যদি কেউ জানায় তাহলে আমরা সরবরাহ করতে পারব।