আস্থা রাখবে সতীর্থরা আমার ওপর : সাকিব।ম্যাচ ফিক্সিং প্রস্তাব পাওয়ার তথ্য গোপন করায় সব ধরনের ক্রিকেটে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতি শেষ করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এখন ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় সাকিব। তার বিশ্বাস, সতীর্থরা তার ওপর আস্থা রাখবেন এবং আগের মতোই ড্রেসিংরুমের পরিবেশ পাবেন।
এক বছরের নিষেধাজ্ঞার কারণে সতীর্থদের কাছ থেকেও স্বাভাবিক আচরণ পাবেন কি-না তা নিয়ে সন্দেহ থাকা স্বাভাবিক, তবে দেশ সেরা অলরাউন্ডার মনে করেন না যে, তার প্রতি সতীর্থরা তথা সিনিয়র খেলোয়াড়রা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডার মনে করেন, বিশ্বাস হারানোটাই স্বাভাবিকই।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরছেন সাকিব। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্নের আহ্বান করে সম্প্রতি নিজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তিনি। সেই কারনেই ইউটিউব চ্যানেলে লাইভে আসেন সাকিব। নিষেধাজ্ঞায় অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্ন করা হয় সাকিবকে।
কোনো দ্বিধা ছাড়াই সাকিব বলেন, এটি খুবই কঠিন প্রশ্ন। আসলে কার মনে কি আছে, তা বলাও কঠিন। সন্দেহ জাগতে পারে, অবিশ্বাস দেখা যেতে পারে, আমি কখনোই তা অস্বীকার করতে পারি না। তবে সকলের সাথেই আমার নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো, সেখানে যা কথা হয়েছে তাতে আমার কাছে এমন কিছু মনে হয়নি। আশা করি এই জায়গা কোন সমস্যা হবে না।
আগের মতো সবার আস্থা নিয়ে মাঠে নামতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাকিব। তিনি জানান, আমি বিশ্বাস করি, তারা আমাকে আগে যেভাবে বিশ্বাস করত, এখনো সেভাবেই করবে। তবে অবিশ্বাস করতেই পারে, এটা আসলে অস্বাভাবিক কিছু না। মনের মধ্যে এমন সন্দেহ জাগতেই পারে এবং সেটা নিয়ে আসলে আফসোসের কিছু নেই। তবে আমি মনে করি তারা আমার প্রতি আগের মত একইভাবে বিশ্বাস রাখবে।
তবে সাকিবের ওপর যে সতীর্থরা আস্থা হারাননি ইতোমধ্যেই সে প্রমাণ মিলেছে, যেদিন তার নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাকিবকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম এবং অন্যান্য খেলোয়াররা। সাকিবকে ড্রেসিংরুমে ফিরে পেতে তাদের অপেক্ষা তর সইছে না।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তৃক আয়োজিত ফিটনেস সেশনে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে মাঠে ফিরবেন সাকিব। ফিটনেস ঠিক থাকলে, নভেম্বরের শেষে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে খেলবেন তিনি।আস্থা রাখবে সতীর্থরা আমার ওপর : সাকিব।