ইউরোপে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। ধারণা করা হচ্ছে, ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, আইসিইউ শয্যা স্থাপন, এমনকি আরও শয্যা ক্রয়ের পরও ইউরোপের দেশগুলো হাসপাতালের শয্যা নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সেখানে আবার প্রতিশোধের নেশায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ।
গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে দেশটিতে মহামারি শুরু হওয়ার পর এ প্রথমবারের মতো এক দিনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ গত বুধবার কমপক্ষে চার সপ্তাহের জন্য প্যারিস ও আরও আট শহরে রাতের বেলা কারফিউ জারির ঘোষণা দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার এক দিনে নেদারল্যান্ড নতুন করে ৭ হাজার ৮৩৩ করোনা রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছে। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যাটি ছিল প্রায় ৭ হাজার ২৯৬ জন।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র বেলজিয়াম ৫ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত দৈনিক গড়ে ৫ হাজার ৪২১ রোগী শনাক্ত করেছে বলে জানা যায়, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ১০১ শতাংশ বেশি।
গত বুধবার হাসপাতালের ১ হাজার ৭৭৭টি শয্যা করোনার রোগীদের দখলে ছিল। গত ৭ অক্টোবর এ সংখ্যাটি ছিল প্রায় ১ হাজার ৫০। সংখ্যা বৃদ্ধির হার ৬৯ শতাংশ।
ইউরোপে করোনাভাইরাস মহামারির প্রথম ওয়েভের সময় মূলকেন্দ্র ছিল ইতালি। সেখানে গত বৃহস্পতিবার নতুন রেকর্ড ৮ হাজার ৮০৪ জন সংক্রমিত হয়। আগের দিন এটি ছিল ৭ হাজার ৩৩২ জন। দিনে দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
এমনকি আয়ারল্যান্ডে ১ হাজার ৯৫ নতুন রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্যও গত বুধবার জানানো হয়েছে। দেশটিতে মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর এটিই এক দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড বলে ধরা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপবিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক ডা. হানস ক্লোগ গত বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেন যে ইউরোপে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই নতুন শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ৭ লাখ, যা মহামারি শুরুর পর এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণের ঘটনা।
ইউরোপের এই ক্রমন বর্ধমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সংশ্লিষ্ট মুন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, ইউরোপ সহ বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রেও এখন করনোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ চলছে। এই ভাইরাসের কার্যকরী ভ্যাকসিন এখন বানানো যায় নি।