পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই সোমবার (১৬ জুন) ভোরে ইরানের ছোড়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। যার ফলে দেশজুড়ে রকেট সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে।
নতুন হামলায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত ও ৬৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি স্বেচ্ছাসেবক-ভিত্তিক জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা সংস্থা ইউনাইটেড হাটজালাহ। টাইমস অব ইসরায়েল ও জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় অংশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং পেতাহ তিকভা শহরের একটি ভবনে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানে। তেল আবিবেও দুটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) জনগণকে সতর্ক করে বলেছে, কেউ যেন হামলার স্থান বা ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার না করেন, কারণ শত্রুপক্ষ এসব তথ্য নজরে রেখে পরবর্তী হামলার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে।
ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ম্যাগান ডেভিড এডাম (এমডিএ) জানিয়েছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চারটি স্থান চিহ্নিত করেছে এবং সেখানে জরুরি সেবা দিচ্ছে। এ পর্যন্ত অন্তত ২৯ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা মাঝারি এবং বাকিরা হালকা আহত হয়েছেন। এছাড়া অনেকেই আতঙ্ক ও উদ্বেগে মানসিক চাপে ভুগছেন।
এদিকে হাইফা শহরেও হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানায় ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান। একই সময়ে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে ইসরায়েলের কিছু অঞ্চলে হুতিদের হামলার সতর্কতা সাইরেনও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
হামলার কিছুক্ষণ পরেই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে রোশ হানিকরা এলাকায় ড্রোন অনুপ্রবেশের সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।