ইরানে চলছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা শুদ্ধি অভিযান
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতির পর ইরানে দমন-পীড়নের এক নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। যুদ্ধ সাময়িকভাবে থেমে গেলেও ইসলামিক রিপাবলিক ও দেশ রক্ষায় ইরানে চলছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা শুদ্ধি অভিযান। এরই অংশ হিসেবে কেরমানশাহ প্রদেশে ১১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রদেশটির প্রধান কৌঁসুলি হামিদরেজা কারিমি জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে এক ইউরোপীয় নাগরিককে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করা হয়েছে। অল্প কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে, তবে বেশির ভাগের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের অভিযোগ রয়েছে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে অন্তত তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বিভিন্ন শহরে আরও ডজনখানেক মানুষকে আটক করা হয়েছে, যাঁদের অপরাধ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যক্রম অথবা সন্দেহজনক যোগাযোগকে দায়ী করা হয়েছে।
এর মধ্যেই ইরানের পার্লামেন্ট গোয়েন্দা ও অনুপ্রবেশ সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোতে দ্রুত বিচার ও কঠোর সাজা নিশ্চিত করতে নতুন আইন পাশ করেছে।
বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র জানান, আগের আইনে অনেক আটক ব্যক্তিকে বিচার করা সম্ভব হতো না। এখন আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পারব।
তেহরানে নিরাপত্তা বাহিনীর ভেতরে ইসরায়েলি অনুপ্রবেশের খবরে শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। যুদ্ধের মাঠে সাময়িক বিরতি মিললেও ইরানের ভেতরে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারে নতুন মাত্রা পাচ্ছে।