আন্তর্জাতিক ডেস্কঃফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় তিনটি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৪০টি মসজিদ।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান উপেক্ষা করেই অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
গাজার ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম ‘ফিলিস্তিন আল ইয়াউম’ জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক দিনের হামলায় তিনটি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আরও ৪০টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া হামলার আশঙ্কায় আরও ৪২টি মসজিদ বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও ওয়াকফ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বান উপেক্ষা করেই অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত’ হামলা চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে গাজা ভূখণ্ডে উত্তেজনা কমাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন জো বাইডেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সমর্থনের ভূয়সী প্রসংশা করছি। কিন্তু ইসরায়েলের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ‘স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে’ হামলা অব্যাহত রাখবে তেল আবিব।’
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা গড়িয়েছে টানা দশম দিনে। বৃহস্পতিবার (২০ মে) মধ্যরাত ও ভোরেও ভূখণ্ডটিতে হামলা অব্যাহত রাখে দেশটি। টানা এই হামলায় আরও ৯ জন নিহত হয়েছেন। এতে করে গত দশদিনে ইহুদি এই দেশটির হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ২২৭ জনে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৬৪ জন শিশু এবং ৩৮ জন নারী রয়েছেন। একইসঙ্গে হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬২০ জনে।
জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ৫২ হাজার ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু হয়েছেন। এছাড়া বিমান হামলা ও কামানের গোলার আঘাত থেকে বাঁচতে নারী-শিশুসহ অসংখ্য বেসামরিক মানুষ জাতিসংঘ পরিচালিত ৫৮ টি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।