গাজায় হামলার ক্ষেত্রে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাইডেন প্রশাসন। স্থানীয় সময় শুক্রবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়। কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর এমন তথ্য সামনে এসেছে।
এমন অভিযোগ করার মতো যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
অবশ্য ইসরায়েলের কথা অবিশ্বাস করছে না তারা। শুক্রবার (১০ মে) যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা যাচাই করার মতো পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেয়নি ইসরায়েল। এ কারণে আইন মেনেই মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেদনটিতে গাজায় কিছু ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবেই তিরস্কার করা হয়েছে, তারপরও ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে এটিতে নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি।
ইসরায়েলকে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ‘অসাধারণ সামরিক চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলা করতে হয়েছিল বলেও এতে বলা হয়েছে।
আরো বলা হয়েছে, মার্কিন অস্ত্রের আইনি ব্যবহার মেনে চলার বিষয়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে পাওয়া আশ্বাস ছিল ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য’ এবং তাই (ইসরায়েলে) অস্ত্রের চালান অব্যাহত রাখা যেতে পারে। এতে আরো বলা হয়, সামরিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য হামাস যেভাবে বেসরকারি অবকাঠামোতে হামলা এবং মানব ঢলকে যেভাবে ব্যবহার করেছে তাতে বৈধ প্রক্রিয়ায় স্থলভাগে নির্দিষ্ট বস্তুকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো কঠিন ছিল।
সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘ যুক্তরাষ্ট্রের বোমার আঘাতে এবং অন্যভাবে গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন।
ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৩৫ হাজার লোক নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি