দেশের রাজনীতিতে করোনা, বন্যা, ধর্ষণসহ বেশ কিছু ইস্যুতে জনসম্পৃক্ততা অর্জনের জন্য চেষ্টা করেছে বিএনপি। তবে এসব ইস্যুতে দলের নেতা-কর্মীরা কার্যত কোনো কর্মসূচি দিতে পারেনি। বিএনপির সব কার্যক্রমই ছিলো ভার্চুয়ালি। আর এসব কারণে বারবারই জনসম্পৃক্ততা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে দলটি।
সম্প্রতি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে দল-মত নির্বিশেষে দেশের মানুষ ছিলো সরব। অথচ বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ বা কর্মসূচিই লক্ষ্য করা যায়নি। চলমান এ ইস্যু নিয়েও বরাবরের মতো রাজনীতিকরণের ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছে দলটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, চলমান ধর্ষণ ইস্যুতে জনগণ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সরকার আইন পরিবর্তন করেছে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করেছে। তবে জনগণের এ দাবির প্রতি বিএনপির কার্যত কোনো ভূমিকাই ছিলো না। তাদের রাজপথে দেখা যায়নি।
তিনি আরো বলেন, এ কারণেই বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের কোনো আস্থা নেই। আর জনসমর্থন না থাকার করণে বিএনপি যেকোনো ইস্যুতেই জনসম্পৃক্ততা অর্জনে ব্যর্থ হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীদের দাবি, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই বিএনপি নেতারা বারবার দায় এড়ানো বক্তব্য দেন।
তারা বলেন, বিএনপির ২০১৫ সালের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি এবং আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের ফলে দেশের জনগণ বিমুখ। তাই কোনো কিছুতেই জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারছে না বিএনপি। এটা শুধু তাদেরই ব্যর্থতা।