উইকিপিডিয়াতে পশ্চিম বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন!
অনলাইন ডেস্কঃনারদকাণ্ডে(Narada scam) দুই মন্ত্রীসহ চারজনের গ্রেফতারিতে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। তারই মাঝে ভোট-পরবর্তী হিংসাকে কেন্দ্র করে ময়দানে নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar) ও গেরুয়া শিবির। এমনই টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে উইকিপিডিয়া(Wikipedia) তথ্যে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে ১৯ মে থেকে লাগু হয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন(presidential rule)! স্বাভাবিকভাবেই উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত এই তথ্য নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও এহেন ভুয়ো তথ্যের পিছনে বিজেপির আইটি সেলের যোগসাজশ ও ফেক নিউজ কারবারিদের চক্রান্ত দেখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
উল্লেখ্য, বঙ্গ দখলের লক্ষ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে তাদের সমস্ত চেষ্টাকে ব্যর্থ করে ২১৩ আসন নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। ৪ মে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগে সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে গেরুয়া শিবির।
ছড়ানো হয় একের পর এক ফেক ভিডিও। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে বঙ্গে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক পাঠায় অমিত শাহের মন্ত্রকও। আইনশৃঙ্খলার অবনতিকে হাতিয়ার করে রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়ে বিজেপি রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিকল্পনা করছে এমন জল্পনাও শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এমন একটি পরিস্থিতির মাঝে উইকিপিডিয়ার এই তথ্য স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের জন্ম দিতে শুরু করেছে। তবে এই তথ্য যে সম্পূর্ণ ভুয়ো তা নিয়ে প্রশ্নের কোনো অবকাশ নেই।
রাজনৈতিক মহলের অনুমান, উইকিপিডিয়ার এহেন ভুয়ো তথ্য বিজেপি আইটি সেলেরই কীর্তি। কারণ, বাংলা দখলের লড়াইয়ে ময়দানে নেমে চরম ব্যর্থ হওয়ার পর নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে সরব গেরুয়া শিবির।
যার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইন্ধনে নানান ইস্যুতে বারবার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলাকে কাঠগড়ায় তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে বহু ফেক ভিডিও। যদিও সে চেষ্টা কার্যকর হয়নি। এবার উইকিপিডিয়াকে হাতিয়ার করে বিজেপি তরফে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মিথ্যা গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।