উপহার নয়, দোয়া চাই-কটিয়াদীতে মেয়ে পক্ষ
আশরাফুল ইসলাম রাজন/কটিয়াদি প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে একটি বিয়ে এখন আলোচ্য বিষয়। এলাকায় এবং সামাজিক মাধ্যমেও হচ্ছে প্রশংসা। বিয়েতে উপহার সামগ্রী ও টাকা দেওয়া নিষেধ। নবদম্পতির জন্য দোয়া ও ভালোবাসা কাম্য’ বিয়ের অনুষ্ঠানে এমন ব্যানার লাগানো। বর্তমানে সামাজিক এক ধরনের কথিত প্রথা হয়ে দাঁড়ানো এই রিতীর বাহিরে গিয়ে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করাতে প্রশংসায় ভাসছে কনে পক্ষ। বিষয়টি উপস্থিত সবার নজর কেড়েছে৷ ফলে এটি এখন এলাকায় প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা যায়, কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের হারিনা গ্রামে বানিয়াগ্রাম বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুয়াজ্জম হোসাইনের কন্যার সাথে পাশ্ববর্তী নাগেরগ্রাম নিবাসী আবদুল হাসিমের ছেলে মাওলানা সাব্বির হোসাইনের সাথে বিবাহ হয়। গত ১৯ মে শুক্রবার কনের বাড়িতে ধর্মীয় রীতিমতো বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে। এতে শতাধিক মেহমান অংশ নেন। আমন্ত্রিত মেহমানদের থেকে উপহার সামগ্রী নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে কনে পক্ষ থেকে।
বিয়েতে অংশ নেওয়া মেহমান আব্দুল কাদির, শফিকুল ইসলাম, জুয়েলসহ আরো কয়েকজন জানান, বর্তমান সামাজিক অবস্থায় এমন বিয়ে সত্যি প্রশংসনীয়। বিয়েতে উপহার ও টাকা একরকম বিনিময় প্রথা হয়ে যায়। সব মেহমান এক নয়। অনেকের জন্য খালি হাতে দাওয়াতে আসাটা লজ্জাকর মনে করে। এমন প্রথা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।
বানিয়াগ্রামের সাংস্কৃতি ও সমাজকর্মী ওবাইদুল্লাহ আকন্দ ভুবন বলেন, বিয়েতে উপহার সামগ্রী ও টাকা দেওয়ার কথিত এমন বিনিময় প্রথাকে আমিও সমর্থন করিনা৷ এই বিয়েটি আমাদের সমাজের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা ও বানিয়াগ্রাম বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুয়াজ্জম হোসাইন বলেন, আসলে আমি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আয়োজন করেছি৷ এখানে সকল মানুষ যাতে সহজেই আসতে পারে এজন্য এই উদ্যোগ৷ লক্ষ ছিলো খাওয়ানো কোন বিনিময় নয়। আর এটার পরে ছেলের পক্ষের অনুষ্ঠানেও এমনি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ ফলে উভয়ের জন্য এটি ভালো দিক৷ আমার বার্তা হচ্ছে যে কোন অনুষ্ঠান হউক, এটা যেন বাণিজ্যিক রুপ না নেয়। লক্ষ থাকতে হবে শুধু মানুষকে খাওয়ানো।