ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে আসছে নিষেধাজ্ঞা
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে যেতে পারে। এর মধ্যে বিদেশ ভ্রমণ এবং খেলাপিমুক্ত হওয়ার পর কমপক্ষে পাঁচ বছর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে একটি রোডম্যাপ তৈরি করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের প্রস্তাব থাকবে। বুধবার ঘোষিত মুদ্রানীতির বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে ঋণ খেলাপিদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য আইন করতে সরকারের কাছে চিঠি দিতে বলা হয়েছে। ঋণখেলাপিদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করলে খেলাপি হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। কারণ ঋণখেলাপিদের অনেকেই ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করে বিদেশে ঘুরে বেড়ান ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে অর্থনীতিবিদদের নিয়ে গঠিত মুদ্রানীতি কমিটির এক বৈঠকে খেলাপি ঋণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আলোকে এবারের মুদ্রানীতির বিবৃতিতেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়গুলো যুক্ত করেছে।
ঋণখেলাপি হওয়ার পর তা থেকে মুক্ত হওয়ার পর কমপক্ষে ৫ বছর পর্যন্ত আর্থিক খাতের কোনো প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে যাতে থাকতে না পারেন সে বিধান করার কথাও বলা হয়েছে।
এটি হলে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্ষদের যেসব পরিচালক বা সদস্য ঋণখেলাপি হবেন তারা খেলাপি ঋণ পরিশোধ করলেও ওইসব গুরুত্বপূর্ণ পদে ৫ বছর থাকতে পারবেন না। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালক বা উদ্যোক্তাদের ঋণখেলাপি হওয়ার প্রবণতা কমবে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের উচ্চ খেলাপি ঋণের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ। এসব খেলাপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি কাঠামো শক্তিশালী করা হয়েছে। ফলে ইচ্ছাকৃত খেলাপিরা এখন আর পাড় পাবেন না।
একই সঙ্গে মিথ্যা তথ্য, তহবিলের অপব্যবহার বা অবৈধভাবে বন্ধক রাখা সম্পদ হস্তান্তর-এসব অপরাধের বিষয়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নেবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তালিকা করে ওই তালিকা ধরে তাদেরকে নানা আর্থিক খাতের সুবিধা দিতে বাধা দেওয়া হবে।