এনসিপির মাদারীপুর জেলা ও সদর উপজেলা কমিটি স্থগিত
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণ দেখিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মাদারীপুর জেলা ও সদর উপজেলা সমন্বয় কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে মাদারীপুর জেলা কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুল্লাহ আদিল এবং রাতুল হাওলাদারের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি স্থগিতের বিষয়ে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গত ১৫ জুন সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর অনুমোদনে প্রকাশিত মাদারীপুর জেলা সমন্বয় কমিটি এবং এর অধীন মাদারীপুর সদর উপজেলা সমন্বয় কমিটি এনসিপির আহ্বায়ক মোঃ নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশ মোতাবেক স্থগিত ঘোষণা করা হলো।
আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে মাদারীপুর জেলা সমন্বয় কমিটির ৫ নম্বর সদস্য মোঃ আব্দুল্লাহ আদিল এবং ৬ নম্বর সদস্য রাতুল হাওলাদারকে এনসিপির আহ্বায়ক মোঃ নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
♦প্রসঙ্গত,, মাদারীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)‘র কর্মীসভায় জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে ও হাতুড়িপেটা করে জখম করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে শহরের ভুইয়া কমিউনিটি সেন্টারের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। সভা শুরু হওয়ার আগেই ভুইয়া কমিউনিটি সেন্টারের ভিতরে এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য রাতুল হাওলাদার ও আদিল মাহমুদ টুটুলের নেতৃত্বে মাসুম বিল্লাহ’র উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।এ সময় মাসুমকে কুপিয়ে ও হাতুড়িপেটা করে জখম করা হয়। আশপাশের লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে মাসুমকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আকাশ মাতুব্বর বলেন, রাতুল ও আদিল এই দুইজনের নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে মাসুমের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনার পরপরই এলাকা থেকে হামলাকারীরা পালিয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশের একাধিক টিম।