সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ ও ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক মো. জামাল উদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুনঃ এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ঘটনা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় আ.লীগ নেতারা!
শনিবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, কতিপয় ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্ত স্বামী-স্ত্রীকে কলেজ ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ঐতিহ্যবাহী সিলেট এমসি কলেজকে কলুষিত করেছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের করে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমরা সিলেট এমসি কলেজের অদক্ষ, দায়িত্বহীন অধ্যক্ষ ও ছাত্রাবাসের সুপারের (তত্ত্বাবধায়ক) পদত্যাগ দাবি করছি। ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা কোনো দলের হতে পারে না। ধর্ষকদের কোনো দল নেই। তাদের পরিচয় একটাই, তারা ঘৃণ্য অপরাধী।
গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদি হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলা ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান ও ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।