সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলায় রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানিবন্দি দিচ্ছে তিন ধর্ষক। তারা হলো- মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর ও পাঁচ নম্বর আসামি রবিউল।
শুক্রবার বিকেলে তাদের সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে হাজির করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী।
তিনি জানান, সোমবার সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালত। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করার পর তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। শনিবার একই মামলায় গ্রেফতার রাজন, আইনুল ও রনির রিমান্ড শেষ হবে। তাদেরও আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে তাকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করে সাইফুর-অর্জুন-রবিউলসহ ৮-৯ জন। ওই সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।
বিএনপি করোনায় আক্রান্ত, মাঠে নামার মেরুদণ্ড নেই: ডা. জাফরুল্লাহ
ঘটনার পরদিন শাহপরান থানায় মামলা করেন ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়। ওইরাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সাইফুরের কক্ষে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
এদিকে, ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলায় অভিযান চালিয়ে রোববার ভোর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ থেকে আটজনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে তাদের পৃথকভাবে রিমান্ডে পাঠায় আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা ছয় আসামির ডিএনএ ডেস্ট করা হয়েছে।