সিলেটে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হওয়া সেই নববধূ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম তৃতীয় আদালতে উপস্থিত হন তিনি।
আরও পড়ুনঃ এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ঘটনা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় আ.লীগ নেতারা!
এসময় বিচারক শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতে কী ঘটেছিল তার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন ওই তরুণী।
ছাত্রলীগ ক্যাডাররা কীভাবে স্বামীসহ তাকে তুলে নিয়ে যায় ছাত্রাবাসে, এরপর সেখানে মারধর করার পর পালাক্রমে ৬ জন তাকে ধর্ষণ করে- সেসব বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) বলেন, দুপুরে পুলিশ ওই তরুণীকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে আদালতে নিয়ে আসে। দুপুর দেড়টার দিকে তিনি আদালতে ওই রাতের ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আদালত তার জবানববন্দি লিবিবদ্ধ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকালে এমসি কলেজে বেড়াতে যান দক্ষিণ সুরমার এক নবদম্পতি। এসময় ছাত্রলীগের ৬ জন নেতাকর্মী তাদের ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে বেঁধে রেখে তার সামনেই স্ত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের শিকার তরুণী বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩ জনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেন ভিকটিমের স্বামী।
পুলিশ রোববার সকালে সুনামগঞ্জ থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও হবিগঞ্জ থেকে অর্জুন লস্কর নামের আরেক আসামিকে গ্রেফতার করেছে। অপর আসামিরা এখনও পলাতক। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।