ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন নেভাতে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা Logo পানছড়ির মধ্যনগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ও অনুভূতিহীন কর্তৃপক্ষ Logo চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাঁচ কলেজে পাস করেনি কেউ! Logo গরমছড়িতে জমি দখল নিয়ে তাণ্ডব, ফটিকছড়িতে বসতবাড়িতে হামলা! Logo চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের Logo এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের সংখ্যায় বিপর্যয় — মাত্র ৩৪৫ প্রতিষ্ঠান Logo কিশোরগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাট Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর Logo শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো।

এমসি কলেজে গণধর্ষণ: যেভাবে গ্রেফতার হলেন ধর্ষক সাইফুর

News Editor
  • আপডেট সময় : ০২:৫১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৫১ বার পড়া হয়েছে

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেফতার এড়াতে মুখের দাড়ি কেটে ছদ্মবেশ ধারণ করেন। তবুও তার শেষ রক্ষা হয়নি।

রোববার ভোরে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার সীমান্তবর্তী এলাকা খেয়াঘাট থেকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার সাইফুর রহমান লাগঞ্জের চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে।

আরও পড়ুনঃ এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ঘটনা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় আ.লীগ নেতারা!

এদিকে, সাইফুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ছাতক থানা পুলিশ।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সাইফুর গ্রেফতার এড়াতে তার মুখের দাঁড়ি কেটে ফেলেন। তিনি সীমান্ত পথ ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গ্রেফতারের পর সাইফুর পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। প্রাথমিকভাবে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যান দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন তারা।

এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী।

মামলার আসামিরা হলেন- এম সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের মধ্যে তিনজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরো তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে।

ঘটনার পরই অভিযুক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ। শুক্রবার রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপও উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় অপর অভিযুক্ত অর্জুনকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই দুইজন বাদে বাকি অপরাধীরা শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন।

এমসি কলেজে গণধর্ষণ: যেভাবে গ্রেফতার হলেন ধর্ষক সাইফুর

আপডেট সময় : ০২:৫১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেফতার এড়াতে মুখের দাড়ি কেটে ছদ্মবেশ ধারণ করেন। তবুও তার শেষ রক্ষা হয়নি।

রোববার ভোরে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার সীমান্তবর্তী এলাকা খেয়াঘাট থেকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার সাইফুর রহমান লাগঞ্জের চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে।

আরও পড়ুনঃ এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ঘটনা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় আ.লীগ নেতারা!

এদিকে, সাইফুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ছাতক থানা পুলিশ।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সাইফুর গ্রেফতার এড়াতে তার মুখের দাঁড়ি কেটে ফেলেন। তিনি সীমান্ত পথ ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গ্রেফতারের পর সাইফুর পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। প্রাথমিকভাবে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যান দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন তারা।

এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী।

মামলার আসামিরা হলেন- এম সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের মধ্যে তিনজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরো তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে।

ঘটনার পরই অভিযুক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ। শুক্রবার রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপও উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় অপর অভিযুক্ত অর্জুনকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই দুইজন বাদে বাকি অপরাধীরা শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন।