সিলেটে এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় আরও দুই আসামি রনি ও রবিউল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার রাতে হবিগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে রাজন ও আইনুল নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ নিয়ে এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।
পুলিশ জানায়, রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় রনির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এরপর একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই সময় নবীগঞ্জের অপর একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় আরেক আসামি রবিউল হাসানকে।
এদিকে, সোমবার সকালে রাজন ও আইনুলকে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
নুরকে ধর্ষণ মামলার বাদী ছাত্রীর চ্যালেঞ্জ
আগে, রোববার রাতে প্রধান আসামি সাইফুর ও আরেক আসামি অর্জুন লস্করকেও গ্রেফতার করা হয়। রোববার সকাল ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করেছে সিলেট জেলা পুলিশ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে আটটা থেকে সাড়ে আটটার দিকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করেছেন, তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।
এই ছয়জন হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)।