২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেন। এই ঘটনা তদন্তে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তদন্তে ওই চার শিক্ষার্থীর ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট।
সোমবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১০তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। সভায় এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ও বর্বর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিন্ডিকেট সদস্যরা। এছাড়া অধিভুক্ত কলেজগুলোতে যেন এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া চার শিক্ষার্থী হলেন- ১. বিএসএস ডিগ্রি পাস কোর্সের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত ছাত্র সাইফুর রহমান (২৮); রেজিঃ নং ২৯৪৯৪১৩ ২. ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি মাস্টার্স ফাইনাল বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫); রেজিঃ নং- ১৬৩১১০২৩১৪২; ৩. বিএসএস ডিগ্রি পাস কোর্সের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম (২৫) রেজিঃ নং- ১৩১০২০৫১২৪৮; ৪. ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স ফাইনাল বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান (২৫) রেজি নং ১৭৩১১০২৪৪৮৪।