এম এন লারমার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০৫:৪১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৮২৩ বার পড়া হয়েছে
এম এন লারমার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক সাংসদ সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের তেতুলতলা মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
“ক্ষমা গুণ, শিক্ষা গ্রহণের গুণ, পরিবর্তিত হওয়ার গুণ এই তিন গুণের অধিকারী না হলে প্রকৃত বিপ্লবী হওয়া যায়না” এই প্রতিপাদ্যে খাগড়াছড়ি সদর থানা কমিটির সভাপতি সুনীল চাকমা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভলাস ত্রিপুরার সঞ্চালিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অংশুমান চাকমা, আদিবাসী শ্রমজীবী বিষয়ক সম্পাদক সোহাগ চাকমা, সংগঠনের খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রীতি খীসা, রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুপিটার চাকমা, মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ববিতা চাকমা, যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চাকমা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মনতোষ ত্রিপুরা প্রমুখ।
পিসিজেএসএস খাগড়াছড়ি সদর থানা কমিটির দপ্তর সম্পাদক টিপু চাকমার স্বাগত বক্তব্যের আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা শিখিয়ে গিয়েছেন পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে সংগ্রামের বিকল্প নেই। এমএন লারমাকে জুম্ম জনগণের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামের অগ্রপথিক অবিহিত করে তিনি আরও বলেন, বিপ্লবী লারমার জন্ম না হলে পৃথিবীতে জুম্ম জনগণ বর্তমান পর্যন্ত অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারত কিনা সন্দেহ রয়েছে।
তিনি নব প্রজন্মের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় একবিন্দু ছাড় নয়, অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রজন্মের পর প্রজন্ম লড়াই জারি রাখতে হবে। সমাজের তরুণ, শিক্ষিত এবং অগ্রসর অংশকে সাথে নিয়ে রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বুনেছিলেন বিপ্লবী লারমা। সে কারণে তিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেঁছে নিয়েছিলেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ অবদান জুম্ম জনগণের জন্য রাজনৈতিক সংগঠন গঠন করা। এই সংগঠনটির ৫৩ বছরের লড়াই-সংগ্রামের বদৌলতে পৃথিবীতে জুম্ম জনগণের অস্তিত্ব এখনও টিকে রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সভায় বক্তারা।
এছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলার ৯ উপজেলায় মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৮৬ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।










