ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস Logo রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগরে পড়ল কার্গো উড়োজাহাজ, নিহত ২ Logo হাসপাতালে সংস্কার উদ্যোগে সহযাত্রী সোশ্যাল ফাউন্ডেশনের অগ্রগতি Logo দশমিনায় পুকুরে পরে শিশু নিহত Logo এনআইডি কার্ড ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ বন্ধ : ডিসি সারোয়ার Logo আমরা যত দ্রুত পারি বিমানবন্দর চালু করব : বিমান উপদেষ্টা Logo কিশোরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের মিলনমেলা; ঐক্য ও সৌহার্দ্যের নতুন বন্ধন Logo রংপুরে শাশুড়িকে ধর্ষণের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে Logo দেশে মাদ্রাসা বোর্ড পাশে এগিয়ে যদিও বৈরাটি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীই ফেল

করতোয়া নদী থেকে উদ্ধারকৃত মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনী

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
  • / ১০৩৬ বার পড়া হয়েছে

 

করতোয়া নদী থেকে উদ্ধারকৃত মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনী

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদী থেকে উদ্ধার মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল।
বৃহস্পতিবার(১০-জুন) বিকেলে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসা বোমা বিশেষজ্ঞ টিম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাগদা ফার্ম এলাকায় মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করে বলে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি একেএম মেহেদী হাসান জানিয়েছেন।

জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের বালিয়ামারী এলাকার স্থানীয় এক মাছ চাষী গত ফেব্রুয়ারী মাসের ৮ তারিখে করতোয়া নদীতে শেলটি দেখতে পেলে এলাকাবাসী গোবিন্দগঞ্জ থানায় খবর দেয়।
ঐদিন থানা পুলিশ শেলটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখে।

পরে শেলটি পরীক্ষা করে নিষ্ক্রিয় করার জন্য সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ টিমকে খবর দেওয়া হয়েছিল।
তার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ জুন রংপুর থেকে আগত সেনাবাহিনীর ৯নং ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ন ক্যাপ্টেন আবু সালেহের নেতৃত্বে সেলটি তাদের তত্ত্বাবধানে বিকট শব্দে মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশীদের মারার জন্য এ শেল পাকিস্তানীরা এনেছিল পরে তারা মুক্তিবাহিনীর ধাওয়া খেয়ে সম্ভবত নদীতে ফেলে চলে যায়।ক্যাপ্টেন আবু সালেহ জানান মর্টার শেলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো যুগ যুগ ধরে পানি অথবা মাটির নিচে থাকলেও সক্রিয় থাকে যার প্রমাণ আজকেও পাওয়া গেল।

ধারণা করা হচ্ছে পাক বাহিনীর ফেলে যাওয়া মর্টার শেল আরও বেশ কিছু থাকতে পারে গোবিন্দগঞ্জের এ এলাকায়। তবে এরকম শেল কেউ যদি উদ্ধার করে তাদেরকে দ্রুত থানায় জানানোর জন্য বলা হয়েছে।কারণ দেখা যায় অনেকে মর্টার শেল পেলে মূল্যবান বস্তু ভেবে সেটা কাটার চেষ্টা করে যেমনটি কিছুদিন আগে এ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের কয়েকজন করেছিলো যার ফলে বিষ্ফোরণে তাদের প্রাণহানী হয়েছিল।

[irp]

করতোয়া নদী থেকে উদ্ধারকৃত মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনী

আপডেট সময় : ১০:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

 

করতোয়া নদী থেকে উদ্ধারকৃত মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনী

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদী থেকে উদ্ধার মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল।
বৃহস্পতিবার(১০-জুন) বিকেলে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসা বোমা বিশেষজ্ঞ টিম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাগদা ফার্ম এলাকায় মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করে বলে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি একেএম মেহেদী হাসান জানিয়েছেন।

জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের বালিয়ামারী এলাকার স্থানীয় এক মাছ চাষী গত ফেব্রুয়ারী মাসের ৮ তারিখে করতোয়া নদীতে শেলটি দেখতে পেলে এলাকাবাসী গোবিন্দগঞ্জ থানায় খবর দেয়।
ঐদিন থানা পুলিশ শেলটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখে।

পরে শেলটি পরীক্ষা করে নিষ্ক্রিয় করার জন্য সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ টিমকে খবর দেওয়া হয়েছিল।
তার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ জুন রংপুর থেকে আগত সেনাবাহিনীর ৯নং ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ন ক্যাপ্টেন আবু সালেহের নেতৃত্বে সেলটি তাদের তত্ত্বাবধানে বিকট শব্দে মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশীদের মারার জন্য এ শেল পাকিস্তানীরা এনেছিল পরে তারা মুক্তিবাহিনীর ধাওয়া খেয়ে সম্ভবত নদীতে ফেলে চলে যায়।ক্যাপ্টেন আবু সালেহ জানান মর্টার শেলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো যুগ যুগ ধরে পানি অথবা মাটির নিচে থাকলেও সক্রিয় থাকে যার প্রমাণ আজকেও পাওয়া গেল।

ধারণা করা হচ্ছে পাক বাহিনীর ফেলে যাওয়া মর্টার শেল আরও বেশ কিছু থাকতে পারে গোবিন্দগঞ্জের এ এলাকায়। তবে এরকম শেল কেউ যদি উদ্ধার করে তাদেরকে দ্রুত থানায় জানানোর জন্য বলা হয়েছে।কারণ দেখা যায় অনেকে মর্টার শেল পেলে মূল্যবান বস্তু ভেবে সেটা কাটার চেষ্টা করে যেমনটি কিছুদিন আগে এ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের কয়েকজন করেছিলো যার ফলে বিষ্ফোরণে তাদের প্রাণহানী হয়েছিল।

[irp]