ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা মহামারিতে স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়ছে শিশু শ্রমিক

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৪:২১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১১৫৬ বার পড়া হয়েছে
শেখ আবদুল্লাহ আনোয়ারা, (চট্রগ্রাম) প্রতিনিধি: প্রতীকি অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা আর দারিদ্র্যের কারণে ক্রমেই বাড়ছে শিশুশ্রমিক। করোনা মহামারিতে আরো প্রকট হচ্ছে শিশুশ্রম সমস্যা। জীবনের শুরুতেই এসব কোমলমোতি শিশুরা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে। মূলত করোনার কারণে অভিভাবকের কাজ এবং আয়ের ওপর প্রভাব পড়ায় নতুন করে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক ও শ্রম বাজারে ধাক্কা, মানুষের জীবিকার ওপর বিরাট প্রভাব ফেলছে।
দুর্ভাগ্যবশত এই সংকট শিশুদের শিশুশ্রমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দারিদ্রের কারণে শিশুদের নামতে হচ্ছে কাজে। করোনা মহামারিতে স্কুল বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো তাদের সন্তাদের কাজে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ অনেক অভিভাবকেরই মোবাইল কিনে ডাটা ব্যাবহার করে সন্তানকে অনলাইনে ক্লাস করানোর সক্ষমতা নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ,আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী, বন্দর কমিউনিটি সেন্টার, আনোয়ারা সদর, বটতলী শাহ্ মোহছেন আউলিয়া রুস্তমহাট, কালাবিবি দিঘির মোড়,বৈরাগ আমান উল্লাহ পাড়া রাস্তার মাথা , তৈলারদ্বীপ সরকার হাটে বেকারি, গাড়ির পার্টসের দোকান,সি এন জি গ্যারেজ ,মুদির দোকান, কাপড়ের দোকান,ওয়াকসপ,ফার্নিচার দোকান,ফার্মেসীতে প্রায় শত শত শিশুশ্রমিক কাজ করছে।
শিশুশ্রমিক মোহাম্মদ শহিদ সাথে কথা বলে যানাযাই , করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়,বাবা কাজ শিখতে দিছে। চট্রগ্রাম বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, করোনার কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। যে কারণে একবার যে শিশুটি স্কুল ছেড়ে পূর্ণকালীন কাজে যোগ দিচ্ছে, সেই শিশুটি আর স্কুলে ফিরবে না। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণেও শিশুশ্রম বাড়ছে।

[irp]

করোনা মহামারিতে স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়ছে শিশু শ্রমিক

আপডেট সময় : ০৪:২১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
শেখ আবদুল্লাহ আনোয়ারা, (চট্রগ্রাম) প্রতিনিধি: প্রতীকি অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা আর দারিদ্র্যের কারণে ক্রমেই বাড়ছে শিশুশ্রমিক। করোনা মহামারিতে আরো প্রকট হচ্ছে শিশুশ্রম সমস্যা। জীবনের শুরুতেই এসব কোমলমোতি শিশুরা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে। মূলত করোনার কারণে অভিভাবকের কাজ এবং আয়ের ওপর প্রভাব পড়ায় নতুন করে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক ও শ্রম বাজারে ধাক্কা, মানুষের জীবিকার ওপর বিরাট প্রভাব ফেলছে।
দুর্ভাগ্যবশত এই সংকট শিশুদের শিশুশ্রমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দারিদ্রের কারণে শিশুদের নামতে হচ্ছে কাজে। করোনা মহামারিতে স্কুল বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো তাদের সন্তাদের কাজে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ অনেক অভিভাবকেরই মোবাইল কিনে ডাটা ব্যাবহার করে সন্তানকে অনলাইনে ক্লাস করানোর সক্ষমতা নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ,আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী, বন্দর কমিউনিটি সেন্টার, আনোয়ারা সদর, বটতলী শাহ্ মোহছেন আউলিয়া রুস্তমহাট, কালাবিবি দিঘির মোড়,বৈরাগ আমান উল্লাহ পাড়া রাস্তার মাথা , তৈলারদ্বীপ সরকার হাটে বেকারি, গাড়ির পার্টসের দোকান,সি এন জি গ্যারেজ ,মুদির দোকান, কাপড়ের দোকান,ওয়াকসপ,ফার্নিচার দোকান,ফার্মেসীতে প্রায় শত শত শিশুশ্রমিক কাজ করছে।
শিশুশ্রমিক মোহাম্মদ শহিদ সাথে কথা বলে যানাযাই , করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়,বাবা কাজ শিখতে দিছে। চট্রগ্রাম বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, করোনার কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। যে কারণে একবার যে শিশুটি স্কুল ছেড়ে পূর্ণকালীন কাজে যোগ দিচ্ছে, সেই শিশুটি আর স্কুলে ফিরবে না। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণেও শিশুশ্রম বাড়ছে।

[irp]