টিকেট প্রাপ্তি ও যাত্রার সময়ের মধ্যের কয়েক ঘণ্টার ফারাকে করোনা নেগেটিভ সনদ নিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সৌদি প্রবাসী যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ ফ্লাইট চালুর মাত্র ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে করোনার নমুনার সনদ পাওয়ায় যাত্রা বাতিল হওয়ার সংশয় রয়েছে তাদের। অন্যদিকে আইশোলেশন সেন্টার কর্তৃপক্ষ দায়ী করছে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সকে।
মহাখালী করোনা আইসোলেশন সেন্টার থেকে বিমানবন্দরের দূরত্ব মাত্র সাড়ে ৭ কিলোমিটার হলেও সৌদি প্রবাসী হেলাল আহমেদের জন্য তা তখন কয়েক হাজার মাইলের চেয়েও বেশি। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি এয়ারলাইনসের যে ফ্লাইটি ছেড়ে যাবে জেদ্দার উদ্দেশে তিনি তার একজন যাত্রী। নমুনা দেয়ার ২৯ ঘণ্টা পর সৌদি যাত্রার মাত্র তিনঘণ্টা আগে করোনার নেগেটিভ সনদ হাতে পেয়েই ছুটছেন হেলাল।
মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে এমন দৃশ্য প্রতিমুহূর্তের। বিদেশগামী যাত্রীদের অভিযোগ ছিল ২৪ ঘণ্টা পার হলেও হাতে পাচ্ছেন না কোভিড নেগেটিভ সনদ।
সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বিভ্রান্তিকর আশ্বাসে কয়েক ঘণ্টা আগে এসে সনদ পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয় সিটি করপোরেশনের আইসোলেশন সেন্টারে। দাবি করেন যাত্রীরা৷
স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: মোজাম্মেল হক
তবে সনদ দিতে গিয়ে সৃষ্ট সংকটের জন্য আইসোলেশনের সিভিল সার্জন সরাসরি দায়ী করলেন সৌদি এয়ারলাইন্সকে। বললেন, করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম সময় দেয়া হচ্ছে না তাদের।
আইসোলেশনের সিভিল সার্জন বলেন, দায়িত্ব পুরোপুরির এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের। তারা কোনোভাবেই সময় দিচ্ছে না।
এ বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।
এই সংকট সমাধান না হলে যাত্রী হয়রানির পাশাপাশি বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।