পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজন ৬ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শুধু তারা নয়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাক্সফোর্স, সিআইডি সহ বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থাও।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মুশিদাবাদের ডোমকল থেকে গ্রেফতারকৃত ছয় সন্দেহভাজনকে আল-কায়দা সদস্য বলেই দাবি করে ভারতের তদন্তকারি সংস্থা এনআইএ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
কলকাতার এনআইয়ের দফতরে ৬ দিনের রিমান্ড চলছে। কিন্তু এই সন্দেহভাজন জঙ্গি ধরা নিয়ে মমতার রাজ্যে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বির্তকও।
কলকাতার সল্টলেকের এনআইয়ে দফতরে দফায় দফায় চলছে জেরা, সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাদ দিয়ে গণমাধ্যম গুলোর দাবি গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইসহাক নামে একজনের বাড়িতে মাটির নিচে পাওয়া গিয়েছে ছোট্ট একটি ঘর। সেখানে অভিযানে মিলেছে বিপুল পরিমাণ ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশও।
তবে গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের দাবি, শৌচালয় তৈরির জন্যও ওই ঘরটি তৈরি করা হয়েছিল।
পেশায় ওই ব্যক্তি দরজি হলেও কেন তার ঘরের ভেতর মাটির নিচে আরোও একটি ঘর তৈরি করেছিলেন- সেটা নিয়ে গোয়েন্দারা পড়েছেন দ্বন্দ্বে। শুধু তাই নয়, একটি হোয়াটআপস গ্রুপ তৈরি করে জঙ্গিদের একত্রিত করার মতোও তথ্যও পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি এনআএএর গোয়েন্দাদের।
আরও পড়ুনঃ সগিরা হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৭ অক্টোবর
এদিকে, রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের এত সক্রিয় থাকার পরও কেন এই ধরণের জঙ্গি তৎপরতার বাড়ছে। আর কেনই বা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এসে মমতার পুলিশের নাকের ডগা থেকে জঙ্গি পাকরাও করছে- সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ মনে করেন, প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ। নইলে বর্ধমানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরের বুকের ওপর এইভাবে খাগড়াগড়ের মতো কান্ড ঘটে কী করে। পাশের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বার বার অভিযোগ করেছেন, এই রাজ্যে জঙ্গি বেড়ে উঠেছে এবং তারা বাংলাদেশকেও অশান্ত করছে।
বামফ্রন্ট নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বারুদের স্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ। পুলিশ কী করছে তাদের কাজ কী সেটা বোঝা যাচ্ছে না। গত শুক্রবার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ও কেরল রাজ্য থেকে পৃথক অভিযান চালিয়ে দেশটির জাতীয় তদন্তকারি সংস্থা এনআইএ মোট ৯ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। যদি তাদের সবার বাড়ি মমতার রাজ্যে।
দৈনিক আস্থা/রকব