সোহরাব হোসেন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের দুই সন্তানসহ চার জনকে হত্যার ঘটনায় নিহত শাহিনুরের আপন ভাই রায়হানুলকে গ্রেফতার দেখিয়েছে সিআইডি পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম জানান, নিহত শাহিনুরের ভাই রায়হানুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
তবে, রিমান্ড শুনানীর দিন এখনও আদালত কর্তৃক ধার্য্য হয়নি বলে তিনি আরো জানান। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে লোমহর্ষক এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত শাহিনুরের শাশুড়ি কলারোয়ার ওফাপুর গ্রামের রাশেদ গাজির স্ত্রী ময়না বেগম। মামলায় তিনি কারো নাম উল্লেখ না করেই বলেন, কে বা কারা ওই চারজনকে গলাকেটে হত্যা করেছে। মামলা নং-১৪, তারিখ-১৫.১০.২০। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারান চন্দ্র পাল জানান, মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব ইতিমধ্যে সিআইডির ওপর দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, এ হত্যাকান্ডের পর থেকে ঘটনাস্থল ওই বাড়িতে এখনো কৌতুহলী মানুষের ভিড় কমেনি।
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ নিধন এবং সাগরলুট বন্ধ করতে হবে- খাদ্য দিবসে বক্তারা
সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের ধারে পুরো বাড়ি ও পাড়াজুড়ে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। নারকীয় হত্যাকান্ডের মধ্যে ঘাতকদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া চারমাসের শিশু মারিয়া সুলতানার দায়িত্বভার নিয়েছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। তিনি ওই শিশুর চিকিৎসা ও বেড়ে ওঠার সব ব্যয়ভার বহন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। শিশুটি বর্তমানে হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুনের হেফাজতে রয়েছে। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে শাহীনুর, তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী ও মেয়ে তাসনিম সুলতানার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই নিকটস্থ ব্রজবাকসা গ্রামে শাহিনুরের মামা আবদুল কাদেরের পারিবারিক গোরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য ঃ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে মৎস্য হ্যাচারী মালিক শাহিনুর, তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী ও মেয়ে তাসনিম সুলতানাকে জবাই করে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা।